নেই যথাযথ তদারকি ক্রমশ বাড়ছে রেলপথ কেন্দ্রিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার
সাজ্জাদুল হক: রেলওয়ে’র বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকায় যে কোনো রেললাইন থেকে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত বসতি স্থাপন ও মানুষ চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু যথাযথ তদারকি না থাকায় কেউই মানছে এ আইন। রেলপথের পাশে যেমন গড়ে উঠছে শত শত অবৈধ বস্তি, তেমনি বসছে বাজারও। এ অবস্থায় চলন্ত ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এসব কারণসহ নানা অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার কারণে কোনোভাবেই রেলপথ কেন্দ্রিক দুর্ঘটনার পাশাপাশি মৃত্যুর হার কমানো যাচ্ছে না। গত ছয় বছরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৪ হাজার ৪শ ২১টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪শ ৪৯ জনের। এর মধ্যে গত বছর ৭শ ৬২টি দুর্ঘটনায় ৭শ ৭১ জন প্রাণ হারায়। বিশেষ করে রেল লাইনের উপর বাজার এবং বস্তি গড়ে উঠায় দুর্ঘটনার হার ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি রেল কর্মকর্তাদের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ট্রেনের ছাদে মানুষ পরিবহন। এক্ষেত্রে ট্রেন চলার সময় বিভিন্ন ওভার ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগেও মানুষ মারা যেতে পারে। এছাড়া রেল আসরে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি করে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, পূর্বাঞ্চলে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে দ্রুত রেললাইন থেকে সরতে গিয়ে এবং রেল ক্রসিং অতিক্রম করতে গিয়ে রেল লাইনে কাটা পড়ে মারা গেছে ২ হাজার ৭০ জন। এর মধ্যে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে গত বছরই মারা গেছে ৩শ ৯৩ জন। রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অসতর্কতাবশত রেল লাইনের উপর দিয়ে মানুষের চলাচল করা, বসে থাকা বা গল্প করার সময় চলন্ত ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে মানুষ মারা যাচ্ছে।’
বিভাগীয় রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রেললাইন তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা। এছাড়া গত বছর বিপজ্জনকভাবে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে গিয়ে মারা যায় ৩০ জন। সূত্র : সময় টিভি