এমপি লিটন হত্যার ১৬ দিনেও রহস্য উদঘাটিত হয়নি, দুই শিবির নেতা দু’দিনের রিমান্ডে
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা: সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনার ১৬ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়নি। ফলে সুন্দরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষুব্ধতা বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য তদন্তকারী দলগুলোর পক্ষ থেকেও কোনো আশার বাণী পাওয়া যায়নি।
এদিকে ওই হত্যা মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে র্যাব কর্তৃক ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত দু’শিবির নেতা আশরাফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামকে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (সুন্দরগঞ্জ) মইনুল হাসান ইউসুফ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম ঢাকার ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাভারের আশুলিয়া ক্যাম্পাসে বিবিএতে পড়াশোনা করতো। তার সহযোগী জহুরুল ইসলামও ঢাকায় অবস্থান করতো।
এমপি লিটন হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন গ্রেফতার: এমপি লিটনকে হত্যা করার পর থেকে পুলিশ সুন্দরগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক তৎপরতা ও সন্দেহভাজনদের ধরপাকড় শুরু করে। ফলে এই সূত্র ধরেই জামায়াত, শিবির, বিএনপি কর্মীসহ সন্দেহভাজন ৭২ জনকে আটক করে। এরমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ জনকে লিটন হত্যা মামলায় দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরা হলো: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাজী ফরিদ উদ্দিন, হযরত আলী, আহসান হাবীব মাসুদ, সামিউল হক, হাসিদুর রহমান, জিয়াউল হক, নবীনুর খন্দকার, আশরাফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলাম। আটককৃত বাকি ৬৩ জনকে সুন্দরগঞ্জে সংঘটিত নাশকতা ও পুলিশ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে। এমপি লিটন হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে গোটা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এখন গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। এ কারণে হাট-বাজার বন্দরগুলোতে লোকজনের আনাগোনা কমে গেছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনাও কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । সম্পাদনা: এনামুল হক