আনিসুর রহমান তপন: আইনগত সংস্কারের পাশাপাশি সরকার নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে। নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। উন্নত বিশ্বে অনেক দেশ যেখানে নারী নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছে না, সেখানে বাংলাদেশে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। এসব কারণে আশা করছি ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে। গতকাল রাজধানীর তোপখানার সিরডাপ মিলনায়তনে সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও, বাংলাদেশ (সিআইসি-বিডি) আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
উল্লেখ্য, গত বছর সুইজারল্যা-ের জেনেভায় জাতিসংঘের ৬৫তম সিডও সভায় বাংলাদেশের ৫৬টি বেসরকারি ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়নে গঠিত সিআইসি-বিডি প্ল্যাটফরম-এর ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। ওই প্রতিনিধি দলের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যেই এই সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক অনেক দূর এগিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ তৃণমূল পর্যায়েও এখন নারীর উপস্থিতি দৃশ্যমান। এখন সর্বক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীরা পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোলমডেল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এসময় নারী উন্নয়নে সরকারি কার্যক্রমের অগ্রগতির বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় স্মার্টফোনে ব্যবহারযোগ্য মোবাইল অ্যাপস ‘জয়’ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু কিংবা তাদের পরিবার ১০৯২১ ফোন নম্বরের সহায়তায় এসএমএস প্রেরণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়শা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ক্রিস্টিন সুসান হান্টার, ইউনিসেফের রিপ্রেজেন্টিটিভ এডওয়ার্ড বিজবিডার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার। সম্পাদনা: এনামুল হক