রাশিদ রিয়াজ: ডেনমার্কে বালক-বালিকাদের মধ্যে লিঙ্গ পরিবর্তন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর জানুয়ারি থেকে কোপেনহেগেনে সেক্সোলজি ক্লিনিকে লিঙ্গ পরিবর্তনে বালক-বালিকাদের বেশ আবেদন পড়ে। এদের অধিকাংশই মনে করে তারা ভুল লিঙ্গ নিয়ে জন্মেছে। প্রথমেকোপেনহেগেনের বিশেষায়িত ওই ক্লিনিকটি আশা করেছিল হয়ত জনা পঞ্চাশেক বালক-বালিকা তাদের লিঙ্গ পরিবর্তনের আবেদন জানাতে পারে। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে দেখা গেল আবেদনকারীর সংখ্যা ১৩০ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রিতযাউ এ খবর দিয়েছে। সুইডেনে গত ২০১২ সালে মাত্র চারজন বালক-বালিকা স্টকহোম চিলড্রেন হাসপাতালে এ ধরনের চিকিৎসা নেয়। কিন্তু ২০১৫ সালে এ ধরনের চিকিৎসা নিয়েছে দেশটিতে অন্তত ২শ। ব্রিটেনে ২০০৯ ও ২০১০ সালে দি টাভিস্টক অ্যান্ড পোর্টম্যান এ ধরনের চিকিৎসা ৯৭ জন বালক-বালিকা নিলেও ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ১ হাজার ৪১৯ জন বালক-বালিকা এমন চিকিৎসা নিয়েছে। ডেনমার্কে ১২ বছরের বালক-বালিকারা বয়ঃসন্ধিকালে সমস্যার কারণে হরমোন পরিবর্তনের সুযোগ পায়। ব্যক্তিগত অঙ্গের আকার বৃদ্ধি, অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত বা দাড়ি গোঁফ জন্মাতে অনেকেই হরমোনের সাহায্য নেয়। কিন্তু এ ধরনের চিকিৎসা অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়ে থাকে। তবে কারও বয়স ১৬ হলে সে পূর্ণমাত্রায় হরমোন নিতে পারে। তবে লিঙ্গ পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে বালক-বালিকারা উৎসাহী হয়ে ওঠায় সমকামী, উভকামীসহ এ ধরনের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সংগঠন এলজিবিটি বিষয়টি নিয়ে মোটেও উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। সংগঠনটির মুখপাত্র লিন্ডা থোর পেডারসন বলেছেন, এ ধরনের লিঙ্গ পরিবর্তনের আবেদন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হচ্ছে বিশেষায়িত চিকিৎসার সুযোগ এসেছে বিলম্বে। যতক্ষণ না বয়ঃসন্ধিতে এসে কেউ কোনো সমস্যায় না পড়ছে ততক্ষণ সে চিকিৎসার শরণাপন্ন হচ্ছে না। কিন্তু চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে এটা জেনেও অনেকে আগেভাগে তা গ্রহণে উৎসাহী হয়ে উঠছে। দ্য লোকাল। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম