কিরণ সেখ: বিএনপির সভা-সমাবেশ বানচাল করতেই প্রধানমন্ত্রী রাস্তায় কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন-রাস্তায় আর কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না। মূলত বিএনপির সভা-সমাবেশ বানচাল করার জন্যই এই আদেশ দেয়া হয়েছে। মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেয়ার জন্যই এই আদেশ। গণতন্ত্র ক্রমাগত সংকোচনের ধারায় এটি আরেক ধাপ অগ্রগতি। বর্তমান বাংলাদেশে নাৎসীবাদ সমতুল্য শাসনকালের নামই হচ্ছে হাসিনা-মার্কা গণতন্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ‘এইচআরডব্লিউ’ এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিএনপি মনে করে, প্রকৃত অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে তা দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার তুলে ধরলেও বর্তমান স্বৈরশাসক তাদের জুলুম-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। মানবাধিকার কর্মীরা যত সত্য চিত্র তুলে ধরুক না কেন তাতে ভোটারবিহীন জনবিচ্ছিন্ন সরকারের কিছুই যায় আসে না।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেকসহ বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার হতে শুরু করেছে। আর বেশি দেরী নয় নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিগগিরই তুমুল গণআন্দোলন শুরু করবে জনগণ। অনাচার ও জুলুম করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।
তিনি বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত ও কার্যালয় ভাঙচুর করে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন রিজভী। সম্পাদনা: এনামুল হক