২৫ দিনেও সংজ্ঞা ফিরেনি কালাইয়ের সেই স্কুলছাত্রীর
মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের কালাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছুরি দিয়ে আহততের ঘটনায় সেই স্কুলছাত্রীর হাত-পা নড়াচড়া এবং চোখের পাতা মেলালেও গত ২৫ দিনেও সংজ্ঞা ফিরেনি তার। তবে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার চিকিৎসা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে। এ ঘটনায় গত রোববার পর্যন্ত পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘটনার মূল রহস্য উদঘটন করতে পারেনি।
পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে দূবৃর্ত্তরা বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছুরি দিয়ে যখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরেরদিন ২৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে কালাই থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন তার চাচা। এরপর থেকে পুলিশ ওই ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িত কারা তা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি । শুধু তাই নয়, লোক দেখানোর জন্য পুলিশ ওই ঘটনায় সন্দেহে দুই দফায় একই গ্রামের প্রতিবেশী ৩ জন এবং অন্য গ্রামের ১ জনকে গ্রেফতার করেছে মাত্র। আবার তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে ওই ঘটনার কিছু তথ্য পেয়েছে এমন কথা বললেও তারা এখন পর্যন্ত ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তাদের দাবি, ওই ঘটনার সাথে কারা জড়িত, তাদেরকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করা। কিন্তু পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। দু’দফায় ওই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার আদালত থেকে রিমান্ড নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে ওই ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকায় অবস্থানরত তার মা এবং চাচা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মুঠোফোনে আমাদের অর্থনীতিকে জানান, বর্তমানে সব শঙ্কা থেকে সে মুক্ত। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন হাত-পা নড়াচড়া করতে পারছে এবং চোখের পাতা মেলে সবাইকে দেখছে। ২/১ দিনের মধ্যে সে কথাও বলতে পারবে। অল্পদিনের মধ্যে সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কালাই থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বর্মণ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তিনি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যেহেতু ওই স্কুলছাত্রী নড়াচড়া করতে পারছে, তাই সে সুস্থ হয়ে কথা বলতে পারলেই জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করা সহজ হতো। তাছাড়া মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা , সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান