আত্মহত্যা নয়, হিটলার সাবমেরিন নিয়ে পালিয়েছিলেন!
রাশিদ রিয়াজ: সবাই জানে হিটলার তার প্রেয়সী ইভা ব্রাউনকে নিয়ে এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক ঝানু কর্মকর্তা বব বায়ের দাবি করছেন তিনি প্রমাণ করতে পারবেন জার্মানির স্বৈরশাসক ও নাজি নেতা এডলফ হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বেঁচে ছিলেন ও সাবমেরিন নিয়ে ক্যানারি দ্বীপাঞ্চল হয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় পালিয়েছিলেন। দি হিস্টরি চ্যানেল টেলিভিশনে ‘হান্টিং হিটলার’ অনুষ্ঠানে বব এ ধরনের দাবি করেন। কিন্তু এর আগে কখনো বব হিটলারকে নিয়ে এধরনের দাবি কেন করেননি এবং তার কোনো গোয়েন্দাও হিটলারের পালিয়ে যাওয়ার কথা কেন বলেননি সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এখন বব বলছেন, হিটলার প্রথমে আর্জেন্টিনা রওনা দেন। প্রথমে লুফথওয়াফি বিমানে করে, এরপর ক্যানারি দ্বীপাঞ্চল থেকে একটি সাবমেরিন সংগ্রহ করে তিনি পালিয়ে যান। এমনকি হিটলার নিরাপদ একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে তার ‘চতুর্থ রাইখ’ ফোর্স পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু পাকিস্তানের এ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে মার্কিন স্পেশাল ফোর্সকে যিনি সাহায্য করেছিলেন সেই সার্জেন্ট টিম কেনেডি, ববের হিটলার সম্পর্কে এ তথ্যকে সত্য হলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাহলে মিথ্যা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন্। টিম বলছেন তাহলে এফবি আইয়ের হিটলার সংক্রান্ত ফাইল নিয়ে তদন্তের সুযোগ রয়েছে। ইতিহাসকে পুনরায় নিরীক্ষা করার বিষয় উঠে আসছে। আমাদের হাতে সে জন্যে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে কি না তাও বিবেচনার বিষয়।
কিন্তু বব বায়েরের গোয়েন্দা টিম দাবি করছেন তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য নতুন ৭’শ পৃষ্টার দলিলাদি রয়েছে। এর একটি দলিলে বলা হচ্ছে লুফথওয়াফির এয়ারলাইন্সের বৈমানিক ক্যাপটেন পিটার বামগার্ট জার্মানির রাজধানী থেকে হিটলারকে বিমানে করে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। এ তথ্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার বলেও দাবি করা হচ্ছে। আরেকটি তথ্যে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনবাহিনীর কর্মকর্তারা জার্মানিতে হিটলারের সন্ধান পায়নি এবং এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি যে হিটলার মারা গেছেন।
এও দাবি করা হচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী যেটিকে হিটলারের লাশ বলে দাবি করেছিল সেটি হিটলারের উচ্চতার চেয়ে ৫ ইঞ্চি ছোট ছিল। এবং মস্তকের খুলি ছিল আকারে ছোট। হিটলার যে বাঙ্কারে ছিলেন তার পঞ্চমতম গোপন সুরঙ্গ পাওয়া গেছে যেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল।
জাতিসংঘের যুদ্ধপরাধ তদন্তকারী জন সেনসিস বলছেন, তার কাছে গ্রিসের এক নির্মাণ শ্রমিক বলেছিল ১৯৪৫ সালে তিনি সামোসে গোপন আশ্রম গড়েছিলেন। এসব আশ্রমের অসংখ্য সুরঙ্গ ছিল এবং সেখান থেকে জার্মানি বা নাজিরা পালিয়ে গিয়েছিল যাদের একজন ছিলেন এডলফ হিটলর। তিনি তখন তার গোঁফ ছেঁটে ফেলেছিলেন।
এমনকি আরেকটি শহরে (নাম উল্লেখ করা হয়নি) যেখানে জার্মানির উড়োজাহাজ একটি আলু ক্ষেতে অবতরণ করে এবং ওই বিমান থেকে ৫ জন লোক নেমে আসে যারা জার্মানির নাগরিক ছিলেন।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর অনেক নাজি নেতা ও জার্মান নাগরিক দক্ষিণ আমেরিকা চলে যান। এমনও দাবি করা হচ্ছে হিটলার একটি ইউবোটে করে আর্জেন্টিনা রওনা দেন ক্যানারি দ্বীপাঞ্চল হয়ে এবং তিনি তার কমরেডদের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হন। দি হিস্টরি চ্যানেল