ইমরুল শাহেদ: নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচের (ডব্লিউআরএইচ) ইয়েমেন সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের আকাশ হামলা শুরু হওয়ার পর চার হাজার ১২৫ বেসামরিক লোক নিহত এবং সাত হাজার ২০৭ জন আহত হয়েছে। প্রতিবেদনে, ইয়েমেনের বেসামরিক লোকজনের উপর আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সমরাস্ত্র ব্যবহারের জন্য রিয়াদের সেনাবাহিনী ও সহযোগী দেশগুলোর সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইট ওয়াচ আকাশ ও স্থলযুদ্ধে ক্লাস্টারবোমাসহ ছয় ধরনের বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। এসব গোলা-বারুদ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে প্রস্তুত হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুত ক্লাস্টার বোমার কথা উল্লেখ করেছে। সৌদি জোট এ যুদ্ধ শুরু করেছে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদ্রাব্বু মনসুর হাদিকে পুনর্বহাল করার জন্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধ এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমর্থনে। তাদেরকে বলা হয়েছে, দুই প্রধান আন্তর্জাতিক অভিনেতা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র একটা পক্ষ নিয়ে ফেলেছে গোয়েন্দা সহায়তা ও জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী দেশের মানুষকে বোমার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য হুথি আনসারুল্লা মুভমেন্টের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তারা ইয়েমেনের ভূমি ও সীমান্তে সৌদি জোটের যোদ্ধাদের উপর চড়াও হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যরা ২০১৫ সালে সৌদির কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার ও চার বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল। তারাই এখন এর বিরোধিতা করছে।’ প্রতিবেদনে ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় প্রায় ৮০ শতাংশ লোকেরই মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অথচ সৌদি আরব মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি করছে। তবে গত বছর ইয়েমেনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- লিগ্যাল সেন্টার ফর রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বলেছে সৌদি হামলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪০৩ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৩৪৩ জন আহত হয়েছে। সূত্র: প্রেস টিভি