ইমরুল শাহেদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপদেষ্টা মাকধুম আলী খান পানামা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি করছে। বিচারপতি খোসা জানতে চান, জেরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কতটা সময় লাগতে পারে। মাকধুম আলী খান আর্টিকেল ৬২ ও ৬৩-এর শুনানি গতকালই শেষ করেন। তিনি বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে মরিয়ম নেওয়াজের স্ট্যাটাস নিয়েও কথা বলতে চান। যার মধ্যে রয়েছে তার লন্ডনের সম্পদ। মাকধুম আলী খান তার সাফাইতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পানামা কেলেঙ্কারি
ফাঁস হওয়ার পর গত বছর জাতীয় সংসদে যে বক্তৃতা করেছেন তার মধ্যে অতিরঞ্জিত কিছু নেই। যদি থেকেও থাকে তাহলে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে খালাস দিতে হবে। এই নিয়ে বিচারপতি ইজাজুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা একদিকে বলছেন জাতীয় সংসদে নওয়াজ শরিফ কোনো মিথ্যা ভাষণ দেননি, আরেক দিকে বলছেন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বললেও তাকে খালাস দিতে হবে। যুক্তি হিসেবে খান বলেন, ভারতের আদালতও সাদিক আর আমিন ক্লজগুলো উপেক্ষা করে গেছে। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলার প্রমাণ সেখানেও ছিল।
বিচারক আজমত সাঈদ শেখ জানতে চান, ভারতীয় আইনেও কি আর্টিকেল ৬২ আছে? মাকধুম বলেন, ভারতের সংবিধানে সাদিক ও আমীনের সমার্থক শব্দ আছে।
বাক-স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে আদালত থেকে বলা হয় আর্টিকেল ৬৬ যেমন সংবিধানের একটি অংশ তেমনি আর্টিকেল ৬২-ও। এই আর্টিকেলে পার্লামেন্ট সদস্যদের নৈতিকতা ও চরিত্রের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি খোসা বলেন, পার্লামেন্ট ভাষণ অতিরিক্ত ডকুমেন্ট ও সাক্ষী প্রমাণের অংশ হতে পারে। খোসা বলেন, আদালতে পেশ করা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মামলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আদালতের অর্ধেক সময় ব্যয় করেন পার্লামেন্ট সদস্যদের দ্বৈত নাগরিকত্বের পুরনো কাহিনী উপস্থাপন করে। তাদের পার্লামেন্ট সদস্য পদ বাতিল হয়েছে শুধু তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যথাযথ তথ্য-প্রমাণাদি পেশ করার পরই। পার্লামেন্টে অভিযোগ উপস্থাপনের প্রেক্ষিতে সেটা হয়নি। সূত্র: ডন, পাকিস্তান