দ্রুততম সময়ে ও ন্যায় বিচার হয়েছে : আইনমন্ত্রী
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার রায় দ্রুত হয়েছে। এই রায়ে ন্যায়বিচার হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। এর আগে রাজন ও রাজীব হত্যার মামলার রায়ও অনেক দ্রুত হয়েছে। এসব মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে আসামি যেই হোক অপরাধ করে পাড় পাওয়া যাবে না। এটাও হয়েছে প্রসিকিউশন আন্তরিক হলে বিচারক চাইলে দ্রুত বিচার সম্ভব। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায় হওয়ার পর আইনমন্ত্রী এই প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার রায়ের পর জনমনেও একটা স্বস্তি এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোও ন্যায় বিচার পেয়েছে। এটা আমি মনে করি সরকারের অনেক বড় সাফল্য যে, সরকার এই বিচার কাজ দ্রুততম সময়ে করতে পেরেছে। এছাড়াও আমি সন্তুষ্ট এই জন্য যে, আমার মন্ত্রীত্বের আমলে আমি চেষ্টা করেছি মামলার বিচারকাজ দ্রুত সময়ে করার জন্য। সেই চেষ্টা সফলও হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো মামলার রায় অনেক কম সময়ে হয়েছে। অন্যান্য যে সব মামলা বিশেষ করে আলোচিত ও হত্যা মামলার ঘটনাগুলো রয়েছে ওই সব মামলাগুলোর কাজ দ্রুত যাতে শেষ করা সম্ভব হয় সেই জন্য প্রসিকিউশনকে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা কাজ করছেন। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় আলোচিত মামলাটি দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা দেখে তারা কাজ করেছেন। এই জন্য আমি মনে করি সাফল্য এসেছে। আগামী দিনেও অন্যান্য মামলার প্রসিকিউশন দ্রুত কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।
আরও বেশকিছু আলোচিত মামলার বিচার দীর্ঘদিনেও হয়নি সেগুলোর ব্যাপারে কি করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সব মামলাগুলোর বিচার যাতে দ্রুত হয় সেই জন্য আমরা কাজ করছি। এই কাজগুলো সম্পন্ন হলে ওই সব মামলার কাজও দ্রুতই হয়ে যাবে।
নিম্ন আদালতে বিচার কাজ সম্পন্ন হলে রায়ে ক্ষুব্ধপক্ষ উচ্চ আদালতে যান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। সেখানে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হলে মামলার বিচার কাজের শেষ ধাপ পর্যন্ত অর্থাৎ রায় দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব হবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতও মামলার বিচার কাজ দ্রুত করার জন্য চেষ্টা করছে। এ কারণে আপনারা দেখেছেন সেখানেও তারা এ ব্যাপারে কাজ করছেন। বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
তারা দ্রুত রায় দেওয়ার কারণে আমার মন্ত্রিত্বের আমলে যত মামলার রায় নিম্ন আদালতে হয়েছে এরপর আপিল মামলা উচ্চ আদালতে দ্রুত শেষ হয়েছে বলে আমরা আবার রায়ও দ্রুত কার্যকর করতে পেরেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, দ-প্রাপ্তরা আপিল করলে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ, প্রসিকিউশন মামলার কাজ শেষ করার জন্য কাজ করবেন। রায়ে দেশের জনগণ সন্তুষ্ট হয়েছেন, এটা প্রত্যাশিত ছিল। কারণ কোনো হত্যাকা- যদি প্রমাণিত হয় তখন ফাঁসি দেওয়াই প্রথম পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, সরকারে দায়িত্ব যে অপরাধ করবে তাকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা। আমাদের সরকার সেটাই করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কাঠামোগত পরিবর্তন বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল বলেন, এসব বাহিনী স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, এটা তাদের বিবেচনার বিষয়।
রায় কার্যকর করার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি হাইকোর্টে যাবে। হাইকোর্ট নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে আসামিদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিলের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নিষ্পত্তি করলে এরপর রায় কার্যকর হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম