এম রবিউল্লাহ: ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আগামী শুক্রবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তার অভিষেক নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। ইতিমধ্যে মার্কিন মানবাধিকার
কর্মী ও জর্জিয়ার কংগ্রেসম্যান জন লুইস ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ডেইলি স্টার/ ভয়েস অব আমেরিকা এদিকে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান ওয়াশিংটনে এক ঐতিহাসিক আফ্রিকান আমেরিকান গির্জায় বলেছেন, আমরা ট্রাম্পকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে সমাহিত করতে দেব না।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র বহু সমাবেশ ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। এর আগে এমন ঘটনা দেশটিতে ঘটেনি। ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্প নির্বাচনের সময় অভিবাসী বিরোধী মন্তব্য করে দেশে ও বিদেশে তীব্র সমালোচনায় পড়েন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ ও যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা প্রবেশ করবে তাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনায় পড়েছিলেন। রোববার ওয়াশিংটনে ‘উই শেল বি নট বি মুভড’ শীর্ষক ট্রাম্প বিরোধী র্যালির আয়োজন করা হয়। ওই র্যালিতে রেভেরেন্ড আল শার্পটন নেতৃত্ব দেন। বলেন, আমরা সিনেটে ও প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেট ও মধ্যপন্থী রিপাবলিকানদের বলতে এসেছি যে, আপনারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়ান। তিনি রাজনীতিকদের প্রতি তার আবেদনে বলেন, দরিদ্র ও শ্রমজীবীদের ক্ষতি হয় সে রকম নীতিমালা যেন ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা অনুমোদন করাতে না পারে।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের রোববারের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ব্যাপক হামলার আশঙ্কার করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। ড্রোন থেকে গ্যাস দিয়ে হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী শুক্রবার ওই অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী থাকছে যাতে কোনো রাসায়নিক হামলার ঘটনা না ঘটে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ