উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আগে বাবারা না দিতে পারলেও মায়েরা শিশুদের পর্যাপ্ত ও নিবিড়ভাবে সময় দিতে পারতেন। কিন্তু এখন বাবার পাশাপাশি মায়েরাও কর্মজীবী হওয়ায় শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এতে করে শিশুরা একা বড় হয়ে অনেকটাই অসামাজিক হয়ে পড়ছেন। আবার পরিচারক পরিচারিকার কাছে থাকতে থাকতে তারা নীতি আদর্শের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এসব ক্ষেত্রে বাবা-মাকে প্রায় বলতে শোনা যায়, আমাদের মতো হচ্ছে না ওরা। এখনকার শিশুরা কেন এমন হচ্ছে। ওদের কোনো কমিটমেন্ট নেই। কাউকে মানে না। নিজেদের মতো চলে। ওদের আলাদা জগত।
এ ব্যাপারে শিশু সংগঠক তাহমীনা সুলতানা স্বাতী বলেন, আগে শিশুর সবকিছুই মা দেখতেন। কিন্তু এখন মায়েরা উপার্জন করছেন। আবার যতটা পারছেন সন্তানকে দেখছেন। আর বেশির ভাগ বাবাই আগের মতো গায়ে হাওয়া দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে মায়েদের পক্ষে সংসার চাকরি বাকরি এসব দেখে পুরো সময় বাচ্চাকে দিতে পারছে না। এসব ক্ষেত্রে ভাগাভাগি করে নেওয়ার সময় এসেছে। একজন বাবারও দায়িত্ব রয়েছে সন্তানের প্রতি। বাবা-মা পর্যাপ্ত সময় দিলে শিশু সামাজিকভাবে বেড়ে উঠে। পরবর্তীতে অপরাধের দিকে যেতে পারে না। বেড়ে ওঠার সময় বাবা-মার শিক্ষা তাদের ভবিষ্যতের পাথেয় হিসেবে কাজ করে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম