শাহানুজ্জামান টিটু: আলোচিত সাত খুনের মামলার রায় নিয়ে আপাতত স্বস্তি প্রকাশ করলেও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া ও রায় বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অতীতে রাষ্ট্রপতি অনেক দ-প্রাপ্ত আসামিকে সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছে। তবে আইনের শাসনের প্রকৃত কার্যকর হবে না এবং মানুষের প্রত্যাশাও পূরণ হবে না। এ সময় নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের বেড়াজালে ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না করে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানান আলাল। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণের মতামতের বাইরে গিয়ে বিতর্কিত, সুবিধাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক, তাদের দোষর কোনো ব্যক্তিকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশনার করা হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। আর বিএনপি যেহেতু জনগণের অধিকার নিয়ে কাজ করে সুতরাং এটি বিএনপিও মেনে নিবে না। এর বিরুদ্ধে যতরকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বিএনপি নিবে। রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা আছে তবে রাজনৈতিকভাবে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।নারায়ণগঞ্জ হত্যা মামলার রায় নিয়ে মানুষের কাছে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে এ মন্তব্য করে আলাল বলেন, এখনো বেশ কয়েকটি আদালত রয়েছে। এ সরকার বড় গলায় বলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে। সরকারের এ বক্তব্যের প্রমাণ পাওয়া যাবে উচ্চ আদালতে এই রায় বলবৎ থাকলে। বর্তমান রাষ্ট্রপতির আমলেই অনেক মৃত্যুদ- প্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ। এই মামলায় যারা ফাঁসির আসামি তাদের যদি আবার রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেয় তবে আইনের শাসনের প্রকৃত কার্যকর হবে না এবং মানুষের প্রত্যাশাও পূরণ হবে না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, দেশের টাকা প্রতিবছরই বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। কত টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে তার হিসেব সরকারের কাছেও নেই। আর এটি হচ্ছে হ্যাকিং-এর মাধ্যমে যার অবদান আওয়ামী লীগের। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অতপর তা পরিশোধ না করা। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে পুকুর চুরি হতো এখন সাগর চুরি হচ্ছে। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন