হাসান আরিফ : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় আসামীদের সাজা হওয়ায় নিহতদের সজনরা সন্তুষ্ঠ হয়েছেন। এখন তরা চান হাই কোর্টে রায় বহাল রেখে দ্রুত তা বাস্তবায়ন। তবে চার্জশীট থেকে অব্যহতি
দেওয়ায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, মামলার রায়ে তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ঠ হতে পারেননি। তবে ২৬ জনের মৃত্যুদন্ড আর বাকিদের সাজা হওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তিনি চান এই রায় দ্রুত কার্যকর হোক। হাই কোর্টে যাতে এই রায় বহাল থাকে। একই ভাবে হুকুমদাতাদেরকেও চিহ্নিত করা এবং মামলার চার্জশীট থেকে অব্যহতি দেওয়া পাচ জনকেও অন্তর্ভূক্ত করা যায় সে বিষয়ে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, মামলার চার্জশীট থেকে অব্যহতি দেয়া পাচ আসামীর কারনে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। আর হুকুম দাতাদের কিছুই হল না।
সাত খুনের ঘটনার দুইটি মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, নজরুলের সাথে বিরোধ ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তার সহযোগি ইকবাল রাজু, নূর হোসেনের মাদক ব্যবসার পার্টনার হাসমত আলী হাসু ও আনোয়ারের। ইয়াসিন নজরুলকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলো। আমরা এজাহারে তাদের নাম দিয়েছিলাম।
সাত খুনের ঘটনার অপর মামলার বাদি নিহত এডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন আমাদের ন্যায় বিচার দেওয়া হবে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিকদেরসহ সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
এদিকে এডভোকেট চন্দন সরকারের মেঝ মেয়ে ডা. সুস্মিতা সরকার বলেন, তার বাবা এ আদালতের আইনজীবি ছিলেন। সারাজীবন মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য কাজ করেছেন। তারাও ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এখন হাই কোর্টে যাতে এই রায় বহাল রেখে রায় দ্রুত কার্যকর হলেই তারা শান্তি পাবেন।
এডভোকেট চন্দন সরকারের ড্রাইভার ইব্রাহীমের বাবা আব্দুল ওহাব ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ মামলায় আমরা বারবার বললেও আমাদের সাক্ষি করা হয়নি। তিনি বলেন, চন্দন সরকার দেখে ফেলায় তাকে ও আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এটা ঠিক নয়। নূর হোসেনের খাস লোক হিসেবে পরিচিত সানারপাড়ের মজিবর তার ছেলের কেনা জমি দখলের চেষ্টা চালায়। চাদাবাজির মামলায় ফাসায়। এরপর সে নূর হোসেনের মাধ্যমে র্যাবকে প্রভাবিত করে তার ছেলেকে খুন করে। তার ছেলেকে বাচানোর চেষ্টা করায় র্যাব এডভোকেট চন্দন সরকারকেও খুন করে। তাই আসামীদের সাজা হলেও তিনি ন্যায় বিচার পেলেন না। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম