আজাদ হোসেন সুমন ও ইসমাইল হুসাইন ইমু: নূর হোসেনসহ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার পাঁচ আসামিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
সোমবার রায়ের পর কারাগারে ফিরিয়ে এনে রাতেই তাদের কনডেম সেলে নেয়া হয়। কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে
রাখা হয়। পাঁচজনের মধ্যে নূর হোসেন ছাড়া বাকিরা হলেন, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাঈদ, ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) মেজর আরিফ হোসেন, ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) লে. কমান্ডার মাসুদ রানা ও ল্যান্স নায়েক (বরখাস্ত) বেলাল হোসেন।
আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন ওই পাঁচজনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদ- এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-ের রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ওই পাঁচজনসহ ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন। ১২ জন পলাতক রয়েছে। ১৮ জনকে রাখা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আসামি র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) মেজর আরিফ হোসেন এবং ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) লে. কমান্ডার মাসুদ রানাকে এ কারাগারে আনা হয়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, তার কারাগার থেকেও ওই মামলার তিন আসামি র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেনকে আনা হয়। রাতেই তাদের ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সকাল ৭টার দিকে তাদের কাশিমপুর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ফাঁসির দ- নিয়ে তাদেরকে কারাগারে নেওয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, গতকাল থেকেই ৫ জন বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে তারেক সাঈদ সকালে একটি আটার রুটি সবজি খেলেও দুুপুর বেলা তিনি কিছুই খাননি। অন্য চারজন খেয়েছেন কারাগারের দেয়া রুই মাছ, সব্জি ও ডাল দিয়ে ভাত। কনডেম সেলে এই আসামিদের জন্য রাতের খাবারের মেন্যুতে ছিলো কৈ মাছ সব্জি ও ডাল ভাত। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী