আজাদ হোসেন সুমন: রাজিব গান্ধী ছিল নব্য জেএমবির ‘ইসাবা’ একথা পুলিশ রিমান্ডে ২য় দিনে গত রোববার মধ্যরাতে স্বীকার করেছে। এছাড়াও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে গুলশান হামলায় তার সম্পৃক্ততা, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন চরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ এবং এই মুহূর্তে অন্যান্য জঙ্গিদের অবস্থান ও তৎপরতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। যে তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে পুলিশের একটি টিম অ্যাকশনে গেছে।
গতকাল কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, নব্য জেএমবির প্রধান হিসেবে উত্তরাঞ্চলে কাদেরকে কোথায় কোথায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে রাজিব সব বিশদ বর্ণনা করেছে। যে তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরাঞ্চলের জঙ্গি নেটওয়ার্ক গুড়িয়ে দেয়া সম্ভব।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজিব গান্ধী বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়া ছাড়াও যাদের নাম বলেছে তারা হচ্ছে, সাকিব মাস্টার, আজাদুল কবিরাজ, বাদল, বিয়াজুল ওরফে মেহেদী। পুলিশ জানায় ইসাবা হচ্ছে কতলকারী দলের প্রধান। কিলিং স্কোয়াড যারা হত্যাকা-ে অংশ নেয় তাদের নেতৃত্বে ছিল এই রাজিব গান্ধী জাপানি নাগরিকসহ হত্যাকা-গুলো সফলভাবে পরিচালনা করার কারণে রাজিব গান্ধী তামিমের নজরে আসে। ফলে তাকে নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, সাকিব মাস্টার জঙ্গি সংগ্রহ দলে ভেড়ানো এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্বে ছিল। আজাদুল কবিরাজ ছিল উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন। গুলশান হামলা তদন্তে এ নামটি রয়েছে পুলিশের কাছে। আর বাদল রয়েছে উত্তরাঞ্চলের অপারেশনাল কমান্ডারের দায়িত্বে। তার বাড়ি বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর এলাকায়। সূত্র জানায়, কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার বাশারুজ্জামান ওরফে রিগ্যানের কাছ থেকে কাউন্টার টেরোরিজম গান্ধির নাম জানতে পেরে- সেই থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল। অবশেষে পুলিশের জালে তাকে আটকে পড়তেই হয়েছে। জিজ্ঞসাবাদে রাজিব আরও জানায়, ভারতে পালিয়ে যাওয়া রিপন, খালিদ ও জুনায়েদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হত। এছাড়া হামলার ক্ষেত্রে কিলিং মিশনের অগ্রভাগে ব্যাকআপ পার্টি হিসেবে থাকে আজাদুল কবিরাজ। গুলশান হামলার ক্ষেত্রে তারা ১ জুলাই আগে বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল (ব্যাকআপপার্টি) রেকি করে বলেও রাজিব গান্ধী তথ্য দিয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম