জাফর আহমদ: আমদানি-রফতানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। যা মোট জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ কর রেয়াত প্রথা পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট কমিশনারেট-উত্তর অয়োজিত ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ বিষয়ক সেমিনারে করতাদাতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই-এর চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, ডিসিসিআই এর সভাপতি আবুল কাশেম খান, এনবিআর এর সদস্য সুলতান মো. ইকবাল, খোন্দকার আমিনুর রহমান প্রমুখ।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, যারা ঠিকমত কর দিয়ে সরকারের উন্নয়নে সগযোগিতা করছে সরকার তাদেরও সহযোগিতা করবে, ব্যবসা বাণিজ্যে সহযোগিতা করবে। আর যারা রাজস্ব ফাঁকি দেয় তাদের ব্যাপারে সরকার কঠোর। তিনি বলেন, নতুন করে রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে না দিয়ে করের পরিধি বৃদ্ধি করে সরকারের অর্থের জোগান দিবে। সরকার ইসিআর মেশিন আমদানি করে ব্যবসায়ীদের সরবারহ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে পণ্যের মূল্য ঘোষণার রীতি থাকছে না। স্ব-নির্ধারণি পদ্ধতিতে করদাতারা তাদের টার্নওভার এর পরিমান নির্ধারণ করবে। এর ভিত্তিতে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা ভ্যাট নির্ধারণ করবে। এর বাইরে ভ্য্টা সার্কেলের কর্মকর্তারাও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার পর্যালোচনা করে টার্নওভারের সত্যিকারের পরিমান নির্ধারণ করে তার ভিত্তিতে ভ্যাট নির্ধারণ করবে। এর বাইরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে টার্নওভার নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, কোন করদাতা কম ভ্যাট দিচ্ছে কি না-তা অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করে তদন্ত করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভ্যাট হার ১৫ থেকে কমিয়ে ৭৮ শতাংশ করার দাবি জানান ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান। তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে অন্যের ক্ষতি করা । রাজস্ব বোর্ডের মনোভঙ্গির হয়েছে হয়রানি করা। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার মনোভঙ্গি দূর করে সহযোগিতামূলক হগতে হবে।
রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খোন্দকার আমিনুর রহমান বলেন, জিডিপির পরিমান প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু ট্যাক্স অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ। রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে এ অনুপাত ১০ থেকে ১৪ শতাংশে উন্নিত করা। তিনি বলেন, রেয়াত কমানো সম্ভব হলে মামলার হারও কমবে বলে তিনি উল্ল্যে করেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম