জাফর আহমদ: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, দেশে যেভাবে উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই বছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ। তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি জিডিপির ৩২ শতাংশ হবে। এতে করে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলে আমি মনে করি। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনে আয়োজিত ‘বর্তমান সরকারের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ও এসএম মনিরুজ্জামান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান। সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান। প্রতিপাদ্য বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. একে আব্দুল মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী তিনি বলেন, বিগত দিনে উন্নয়নের সাথে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ তেমন বাড়েনি। এর মূল কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা। শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। বর্তমানে দেশে শান্তি-শৃৃঙ্খলা রয়েছে। ফলে আমরা আশা করি আগামী ২০৪১-এর মধ্যে বাংলাদেশ তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে। দারিদ্র্যদূরীকরণে পৃথিবীতে অন্যতম বাংলাদেশÑ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন বৈষম্য নিরসনে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপর জোর দিচ্ছি। তাই এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
ড. একে আব্দুল মোমেন তার প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ভালো। তবে টেকসই উন্নয়ন করতে হলে আমাদের বেশ এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে রয়েছি। যা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি করতে হলে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র বের করা, প্রশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো ও মানব সম্পদের মান উন্নয়ন ইত্যাদি। সম্পাদনা: কিরণ সেখ