আজাদ হোসেন সুমন ও আনিসুর রহমান তপন: তিন বছরে দেশে মোট ১২ হাজার ২৭৭টি হত্যাকা- ঘটেছে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্কোন্দলজনিত সংঘর্ষে ১৪৬ জন নিহত হয়েছে। ২০১৪ সালে ৪৩ জন, ২০১৫ সালে ৪০ জন এবং ২০১৬ সালে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
একই সময়ে ৬১ হাজার ২১৬টি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। তিন বছরে দস্যুতা ও ডাকাতির ঘটনা রেকর্ড হয়েছে চার হাজার ৩৮৮টি। অপহরণের মামলা হয়েছে ২৪ হাজার আটটি। এই সময়ে সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, এমনকি বিদেশি নাগরিকও খুন হয়েছেন। পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে গত তিন বছরে মোট পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। দিনে গড়ে মামলা হয়েছে ৫০০টি। মামলাগুলোর মধ্যে ২০১৬ সালে এক লাখ ৮২ হাজার ২২৭টি, ২০১৫ সালে এক লাখ ৭৯ হাজার ৮৮০টি ও ২০১৪ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৯২৯টি। এই তিন বছরে দায়ের হওয়া ১২ হাজার ২৫৭টি হত্যা মামলার মধ্যে ২০১৬ সালে তিন হাজার ৭২৮টি, ২০১৫ সালে চার হাজার ৩৫টি ও ২০১৪ সালে চার হাজার ৫১৪টি মামলা রেকর্ড হয়। আর তিন বছরে সারা দেশে ২৪ হাজার আটটি অপহরণ মামলার মধ্যে ২০১৬ সালে ৬৮২টি, ২০১৫ সালে ৯২০টি ও ২০১৪ সালে ৮০৬টি। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি ক্রাইম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, হত্যা হত্যাই সেটা আওয়ামী লীগ না বিএনপি সেটা আমরা দেখি না। পুলিশ হত্যাকারীকে হত্যাকারী হিসেবেই দেখে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ একাধিক সাংসদকে গ্রেফতার করে জেলে পুড়েছে।
মাদারীপুর কালকিনি আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা আছে-ব্যক্তির দায় দল নেবে না। যে অপরাধ করবে সে যত বড় ক্ষমতাসীন নেতাই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। শাস্তি পেতেই হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম