নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: নারায়ণগঞ্জের সাত খুুন মামলায় ৩৫ আসামিকে শাস্তি দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে র্যাবের সাবেক নয় সদস্য পলাতক রয়েছে। এছাড়া ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- হয়েছে সাতজনের এরমধ্যে একজন পলাতক রয়েছে। আর সাতবছরের কারাদ- হয়েছে দুজনের এরমধ্যে একজন পলাতক রয়েছে। পলাতকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা দেশে আছে তারা হয়তো পরিচয় গোপন করে আতœগোপনে রয়েছে। আর কেউ কেউ পরিচয় গোপন করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েও থাকতে পারে। পলাতকদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেলেই এ ব্যাপারে পুরোপুরি বলা যাবে। যারা দেশে আছে তাদের সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর করা হচ্ছে। তাদের পরিবার-পরিজনের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করে অবস্থান জানার চেষ্টা করা হবে।
দ-প্রাপ্তদের মধ্যে এখনো ১১ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতকরা হলেন কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, সৈনিক আলামীন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, এসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, সেলিম, ম্যানেজার শাহজাহান ও জামালউদ্দিন। এরমধ্যে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি রয়েছেন নয়জন। তারা হলেন সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, সেলিম, সানাউল্লাহ সানা , শাহজাহান ও জামাল সর্দার।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সাতখুনের মামলার রায়টি বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম মামলা। এই মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির রায় দেওয়ার মাধ্যমে সমগ্র জাতি স্বস্তি পেয়েছে। এ রায়ের ফলে জনগণের মনে স্বস্তি এসেছে। যারা পলাতক আছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। কেউ পালিয়ে গেলে ফিরিয়ে আনতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নারয়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা অপরাধ করেছিল তাদের শাস্তি হওয়ায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দেশে আইনের শাসন রয়েছে। তিনি বলেন, এখন বিচার হয়েছে। পলাতক যেসব আসামি রয়েছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যখন যেখানে যে অবস্থায় তাদের পাওয়া যাবে গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি কেউ বিদেশে গিয়ে থাকলে তাদের অবস্থান জানার পর দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে। এটা করা গেলে আরও ভালো হবে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাদের শাস্তি হয়েছে ও এর বাইরে যাদের শাস্তি হয়েছে এরমধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের এখন গ্রেফতার করতে হবে। কারণ ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিরা বাইরে নিরাপদে থাকবে সেটা ঠিক হবে না। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম