গাজীপুরে পৃথক হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে স্কুলছাত্রসহ দু’টি হত্যা মামলায় গতকাল বুধবার এক দম্পতিসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত । গতকাল বুধবার বিকালে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহিদ মনসুর ওই মামলার রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার দামপাড়া এলাকার নুরুল হক পেদা’র ছেলে মো. ওয়াহাব মিয়া (২৯) ও একই এলাকার মোজাম্মেল হক আকন্দের ছেলে মো. বশির উদ্দিন (২৯)
গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল কাদের জানান, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার কেরুয়া গ্রামের মো. মোবারক হোসেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় আব্দুর রাজ্জাকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। ২০১৩ সালে মৌচাক মাঠ তার ছেলে মুশফিক হোসেন রাতীমকে (৯) মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে হত্যা করে আসামিরা।এদিকে, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাবী হত্যার ১৮বছর পর বুধবার দুপুরে এক দম্পতিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরো ৬মাস করে সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। দ-প্রাপ্তরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার ভিটিরটেক এলাকার আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোসা. রওশনারা। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভ’ইয়া এ রায় দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. মকবুল হোসেন কাজল জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ভিটিরটেক এলাকায় জমির আইল কাটা নিয়ে ১৯৯৮সালের ২৩ জানুয়ারি দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনের সঙ্গে আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোসা. রওশনারা এবং মাইনুদ্দিন ও তার স্ত্রী জরিনা খাতুনদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশনারা তাদের ভাই সফিউদ্দিনকে দা দিয়ে দিয়ে ও ভাবী রহিমা খাতুনকে কোদাল দিয়ে আঘাত করলে সফিউদ্দিন ও রহিমা খাতুন গুরুতর জখম হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান