ঢাকা-বরিশালের নৌপথে প্রযুক্তি ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে চলছে লঞ্চ
বরিশাল প্রতিনিধি : নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় শীত মৌসুমে ডুবোচর ও কুয়াশায় ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথগুলো। ইতোমধ্যে ঢাকা-বরিশাল নদীপথসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে অসংখ্য ডুবোচর দেখা দিয়েছে। সূত্রমতে, এ সমস্যা সমাধানের জন্য লঞ্চগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রাডার ও ইকো-সাউন্ডার ব্যবহার করার কথা থাকলে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের এসব যন্ত্র ছাড়াই যাত্রীবাজী লঞ্চগুলো প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। ফলে শীত মৌসুমের ঘনকুয়াশায় নৌযানগুলোতে দুর্ঘটনার আশংঙ্কা রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, শীত মৌসুম আসলেই কুয়াশা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এছাড়া বিভিন্নস্থানে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। তাই এসময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি খুবই জরুরি। তিনি আরও জানান, শীতকালীন সময়ে লঞ্চ মালিক ও মাস্টারদের চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নৌযান সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিরা জানান, এ সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের লঞ্চে রাডার ও ইকো-সাউন্ডার বসাতে বলা হয়েছে। রাডারের মাধ্যমে গ্রাফ করে সামনে কিছু থাকলে তা নির্ণয় করা যায়। আর ইকো সাউন্ডারের মাধ্যমে পানির নিচের অবস্থান জেনে কুয়াশার মধ্যেও লঞ্চ চালানো সম্ভব। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল অঞ্চল থেকে ১৮টি রুটে ৬০টি ডবল ডেকার মিলিয়ে প্রতিদিন শতাধিক লঞ্চ চলাচল করে। এরমধ্যে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচল করে ১৭টি লঞ্চ। এ রুটের আট থেকে ১০টি লঞ্চে রাডার ও চার থেকে পাঁচটি লঞ্চে ইকো-সাউন্ডার রয়েছে। তবে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, এসব প্রযুক্তি থাকার পরেও ব্যবহার না করায় কম বেশি প্রায় সব লঞ্চই প্রতিনিয়ত ডুবোচরে আটকে যায়।
পারাবত-৯ লঞ্চের মাস্টার শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, শীতকাল আসলেই চাঁদপুর থেকে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী পর্যন্ত নৌপথে রাত তিনটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্তঘণ কুয়াশা পরে। ফলে এ রুটে লঞ্চ চলাচল করতে গিয়ে কখনও ডুবোচরে আবার কখনও মালবাহী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
সুরভী নেভিগেশনের পরিচালক রেজিন-উল কবির জানান, তাদের প্রতিটি লঞ্চে রাডার রয়েছে। ইকো সাউন্ডার রয়েছে কেবলমাত্র সুরভী-৯ লঞ্চে। তবে পর্যায়ক্রমে অন্য লঞ্চেও ইকো সাউন্ডার লাগানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান