হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১১ নেতাকর্মীর কারাদ-
জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুল আলমকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে আদালত। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হালিম উল্যাহ চৌধুরী বুধবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম বাপ্পী ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক এহতেশাম হায়দর বাপ্পীকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদ- ও ৫হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া জেলা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা মো. সজিব ও মিরাজ হোসেনকে এক বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও ছাত্রলীগ নেতা রূপম, রকি, কাউছার ও আওয়ামী লীগ নেতা মানিক। মামলায় ইমন ও মাসুদকে খালাস দেয়া হয়।এদিকে ১মাসের কারাদ-প্রাপ্ত আসামিদের আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন একই আদালত। মামলায় দ-প্রাপ্ত অন্য আসামিদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলমকে আলীয়া মাদ্রাসা এলাকায় কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আসামিরা। ৬ সেপ্টেম্বর সদর থানায় আহত আশরাফুল আলমের বাবা অ্যাডভোকেট মো. বদরুল আলম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করে পুলিশ। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন।এদিকে, রায়ের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ নেতাকমীরা। এসময় তারা ঢাকা-রায়পুর সড়কের আলীয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে সরকারি মহিলা কলেজ পর্যন্ত সড়কে টায়ার ও গাছের গুড়ি ফেলে দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান