মাসুদ আলম: রাজধানীর দক্ষিণখান আশকোনায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত জঙ্গি সাকিরার মেয়ে সাবিনার আপনজন এখন পুলিশ, ডাক্তার, নার্স আর আয়া। সে বর্তমানে সুস্থ আছে। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও কথাবার্তা বলছে। নারী পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক শিশুটিকে ঘিরে রাখেন। শিশুটি মায়ের জন্য কান্না করতে থাকে। তখন নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে বুঝিয়ে শান্ত করে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চতুর্থ তলার শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে সাবিনা।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, সাবিনা যে বেডে শুয়েছিল তার পাশে বসেছিলেন চারজন নারী পুলিশ সদস্য। তারাই তাকে দেখভাল করছেন। কেউ গান শোনাচ্ছেন, কেউবা তাকে গল্প শোনাচ্ছেন, আবার কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।
দাযিত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে সাবিনা। তবে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছে সে। বোমা হামলার কথা মনে করেই হয়তো এই আচরণ বলে পুলিশ ধারণা করছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর নানা শাহে আলম চৌকিদার তাকে দেখতে আসেন। তারপর আর কেউ সাবিনাকে দেখতে আসেনি। নানা শাহে আলম চৌকিদার থাকেন গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। তার আর্থিক অবস্থাও ভালো না। শিশুটির বাবার মৃত্যুর পর মা সাকিরা জঙ্গি সুমনকে বিয়ে করেন। এরপর সাকিরাও নব্য জেএমবিতে সক্রিয় হন। ঢামেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. জেসমিন নাহার বলেন, শিশু সাবিনা শারীরিকভাবে সুস্থ আছে। শিশুটি স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। গত শনিবার প্লাস্টিক সার্জারির জন্য শিশুটিকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা চলবে। তবে বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পালের শিশু সাবিনাকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। সম্পাদনা: ইসমাঈল হুসাইন ইমু