আবদুল্লাহ তারেক: এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছেন সাবেক রিয়েলিটি শো প্রতিযোগী সামার জারভস। জারভসের অভিযোগ ২০০৭ সালে ট্রাম্প তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করেছেন এবং তার চরিত্র সম্পর্কে জাতির কাছে মিথ্যা বলেছেন।
মামলায় ট্রাম্পকে ‘মিথ্যাবাদী ও নারী-বিদ্বেষী’ হিসেবে উল্লেখ করে জারভস অভিযোগ করেন ট্রাম্প তাকে লাঞ্ছিত করেছেন ও তার শ্লীলতাহানি করেছেন।
অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, তিনি ব্রেভারি হিলস হোটেলে একটি চাকরির ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হন। তিনি বলেন, ট্রাম্প তার যৌনাঙ্গে স্পর্শ করেছে তবে জারভস এ সময় তাকে বাধা দেন।
লস এঞ্জেলেসে ওই সংবাদ সম্মেলনে জারভস বলেন, ‘যেহেতু ট্রাম্প তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেনি তাই সম্মান রক্ষার্থে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’
জারভসের আরও অভিযোগ, ‘শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে তার মানহানি করেছেন প্রেসিডেন্ট এবং অন্যদের অভিযোগ অস্বীকার তাদের উপরেই দায় চাপিয়েছেন। গত বছর ট্রাম্পকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বললেও তা করেনি ট্রাম্প।
এদিকে জারভসের আইনজীবী ও ডেমোক্রেট সমর্থক গ্লোরিয়া অলরেড বলেছেন, মামলার বাদী ইতোমধ্যে ‘লাই ডিটেকটর টেস্ট’ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে মহিলাদের ঝামেলায় জড়িয়ে জনসম্মুখে মিথ্যাবাদী বলে তাদের হেয় করছেন।
এ সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে উল্টো অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন ট্রাম্প। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেননি তিনি।
ট্রাম্প, তার পরিবার ও নির্বাচনি শিবিরের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও ১০ জনেরও বেশি নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের কথা তুলেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
তারা বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প কিভাবে তাদের যৌন হয়রানি করেছেন। তবে তাদের কেউই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেননি। আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেডের মক্কেল সেই কাজটিই করেছেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের তিন দিন আগে। তথ্যসূত্র: বিবিসি ও ইন্ডেপিন্ডেন্ট
সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ