কিরণ সেখ: অবশ্যই আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তবে এর আগে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। যাতে বহির্বিশ্বে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়Ñ এই কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মনঃপুত না হলে কী করবে বিএনপি? নির্বাচনে কী যাবে না? কী লক্ষ্য এবার দলটিরÑ এসব বিষয় নিয়ে আমাদের অর্থনীতির সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন এই রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপের উদ্যোগের জন্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে আমরা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া উনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে, উনার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীলও। আর রাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন। আমি প্রত্যাশা করি, রাষ্ট্রপতি সত্যিকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইসি গঠন করবেন। এর জন্য সুন্দর সমাধান দিতে পারবেন তিনি। সংলাপের মধ্যে দিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তারা ন্যায়পরায়ণ ও সত্যের পক্ষে কাজ করবেন এবং তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব তারা যথাযথভাবে পালন করবেন। আর বিএনপির প্রস্তাব অনুযায়ী ইসি গঠন হবে কি হবে না, এই বিষয়টি আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি, নেতিবাচক হিসেবে নয়।
নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার রায়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার বিচার যথাযথ হয়েছে। এই রায়ে আমরা খুশি। রায়কে আমরা অভিনন্দন জানাই। নিহতদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনও এই ন্যায়বিচারে সন্তুষ্ট ও খুশি হয়েছেন। এছাড়া যারা বিচার করেছেন তাদেরকেও ‘বিচারক’ অভিনন্দন জানাই, সরকারকেও অভিনন্দন জানাই।
মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে আমাদেরকে ‘বিএনপি’ কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাখা হয়েছে। আমরা চাইলেই সভা-সমাবেশ ও কাউন্সিল করতে পারছি না। এর জন্য সাংগঠনিক প্রক্রিয়া কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে কাজ চলছে, খুব শিগগির কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদসহ সারাদেশের কমিটিগুলো দেওয়া হবে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী