ইসমাঈল হুসাইন ইমু: নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের দায়ে মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত নূর হোসেন ও তারেক সাঈদসহ ৩ জনকে কাশিমপুর কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তাদের দেওয়া হয়েছে কয়েদির পোশাক। গতকাল বুধবার তাদের সঙ্গে পরিবারের দেখা করার কথা থাকলেও কেউ যাননি। এ তিনজনকে কারাগারের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সকালে রুটি-গুড়, দুপুরে ভাত, মাছ ও ডাল খেতে দেওয়া হয়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, নূর হোসেন, র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন ওই কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন।
অপরদিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ওই মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি র্যাবের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার বরখাস্ত মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (বরখাস্ত) মাসুদ রানাকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েদি পোশাক দেওয়ার পরপর নূর হোসেন ও তারেক সাঈদ বিমর্ষ হয়ে পড়েন। তবে বেলালকে তেমন একটা হতাশ লাগেনি বলে কারা সূত্র জানায়। এই বেলাল নারায়ণগঞ্জ কারাগারে থাকাবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে নূর হোসেন কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন তার লোকজন আসবে সাক্ষাতে। তবে গতকাল পর্যন্ত নূর হোসেন ও বেলালের কোনো স্বজন সাক্ষাতের জন্য কারাগারে যাননি।
প্রসঙ্গত, প্রায় তিন বছর নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় গত সোমবার ৩৫ আসামি মধ্যে ২৬ জনকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির দ- দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেন আদালত।
এ মামলায় মৃত্যুদ-প্র্রাপ্ত নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি। এছাড়া সানা উল্লাহ ওরফে সানা, নূর হোসেনের ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আল আমিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আবদুল আলিম পলাতক। এছাড়া পলাতক তিন আসামি কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান ও এএসআই কামাল হোসেনেরও কারাদ-ের রায় দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক