নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: সাত খুনের মামলার রায়কে বিশেষ একটি রায় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, এই রায়ে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করেছে। এই নজির আগামী দিনে বিচার ব্যবস্থার জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে সরকার এটা প্রমাণ করেছে দেশে আইনর শাসন রয়েছে। আর আইনের শাসনের ফলেই নিহতদের স্বজনরা প্রত্যাশিত রায় পেয়েছেন।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, এই মামলার প্রসিকিউশন চেষ্টা করেছে অপরাধীদের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেই জন্য তথ্য, প্রমাণ, সাক্ষীসহ সব কিছু আদালতে উপস্থাপন করতে। যাতে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আর বিচারকও ন্যায় বিচার করেছেন। এখন থেকে কেউ ষড়যন্ত্র, অপহরণ, হত্যা, লাশ গুম করে পার পাবে না। অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতে হবে। আর লাশ গুম করেও ঘটনা আড়াল করা যাবে না। অপরাধ ঢাকা যাবে না। কারণ যারা অপরাধ করেছিল তারা মনে করেছিল ঘটনাটি তারা এমনভাবে ঘটাবে যে কেউ জানতে পারবে না। কিন্তু তাদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। অপরাধ ফাঁস হয়েছে। আদালতে প্রমাণ হয়েছে এবং সাজা হয়েছে।
সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধ করে এ্যালিট ফোর্স র্যাবের কোনো কর্মকর্তাও যে পার পাবেন না এই রায় তার বড় প্রমাণ। এটা একদিকে ওই বাহিনীর অন্য সদস্যদের সামনে যেমন সতর্কতার নজির তুলে ধরেছে এবং আগামী দিনে কেউ যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটায় তারও একটি বার্তা সবার জন্য।
এই রায়ের ফলে এটাও নজির স্থাপিত হয়েছে তা হলো যে যত কথা বলুক আর প্রভাবশালীদের কারণে ন্যায় বিচার হবে না বলে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা থাকলেও তা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে বলে মনে করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারের এটা একটা বড় সাফল্য। আগামী দিনে রায় কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিতে হবে। আর আপিল হলে ওই আপিলে যাতে রায় বহাল থাকে সেই চেষ্টাও করতে হবে।
তিনি বলেন, এই মামলায় আরও প্রমাণ হয়েছে, একটি ঘটনাকে আড়াল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে অপরাধীরা। কিন্তু যে বাহিনীর সঙ্গে অপরাধীরা জড়িত ছিল সেই বাহিনী তাদেরকে চিহ্নিত করেছে। অপরাধের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
এতে এটাও নজির বলা যায়, এই অপরাধের মূল ও এক নম্বর আসামি অপরাধ করে পালিয়ে গিয়েছিল। ভারতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত আনা হয়। আর ফেরত আনার পর তাকে বিচারের মুখোমুখি করে সর্বোচ্চ দ- মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সরকার অনেক কম সময়ে এই মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন করার কারণে মানুষের ও জনগণের মনে আইনের শাসনের প্রতি আরও আস্থা বেড়েছে। সরকারের প্রতি আস্থা বেড়েছে। সর্বশেষ ধাপ পার করে রায় কার্যকর করা গেলে তা আরও বাড়বে। সম্পাদনা: এনামুল হক