সুনামগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারে মেয়র, আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানসহ আসামি ৩৯
রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : জলমহলের মালিকানা নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দিরাই উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা একরার হোসেন বাদী হয়ে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, দিরাই পৌরসভার মেয়র ও দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই ঘটনায় উপজেলার নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস বাদি হয়ে আরও ৩০ জনকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশীদ পৃথক দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের একরার চৌধুরী ও পার্শ্ববর্তী কুলঞ্জ গ্রামের মাসুদ মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে গুরামারা সাতপাকিয়া (প্রকাশিত জারুলিয়া) জলমহালের মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন তাজুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি হাতিয়া গ্রামের শান উল্লাহর ছেলে। এ ঘটনায় একই গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে উজ্জল (২৫) ও ইছহাক মিয়ার ছেলে শাহারুলকে (২৪) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা আহত হন আরও ২২ জন।
তাদের ওসমানি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্পাদনা : জাহিদ হাসান