প্রচ- শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যয়ের মুখে ইরি-বোরো চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রচ- ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হতে বসেছে ইরি-বোরোর বীজতলা। কৃষকদের আশঙ্কা, তাপমাত্রা আরও কমলে বাড়লে ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে পারে। তাই বীজতলা এখন থেকেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা এবং পরিমাণমতো সার ও পানি দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। মাঘের হাওয়ায় প্রচ- ঠান্ডা সেই সঙ্গে ঘন কুায়াশা। শুধু জনজীবন নয় বিপর্যস্ত ফসলের মাঠও।
কিছুদিন পরই বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে লাগাবেন পাবনার কৃষকেরা। কিন্তু প্রচ- ঠান্ডা ও কুয়াশায় লালচে হয়ে যাচ্ছে চারা গাছ। কোথাও কোথাও বীজতলা শুকিয়ে গেছে একেবারেই।
চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে।
কৃষকদের আশঙ্কা, ঠান্ডা ও কুয়াশার মাত্রা বাড়লে বীজতলা নষ্টের পরিমাণও বেড়ে যাবে। এতে চারা সংকটে ব্যাহত হতে পারে চাষ।
নেত্রকোণায়ও কনকনে ঠান্ডায় বিবর্ণ হতে শুরু করেছে বীজতলা। জমি প্রস্তুত থাকলেও কৃষকদের এখন চিন্তা, সংকট দেখা দিলে বাড়তি দামে কিনতে হতে পারে চারা। এ অবস্থায় বীজতলা বাঁচাতে চাষিদের কিছু নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
লক্ষ্মীপুরে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে তৈরি হয়েছে বীজতলা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ঠান্ডায় চারার কিছুটা ক্ষতি হলেও উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়বে না।