নেত্রনোকার পূর্বধলায় বহিস্কার ও পদত্যাগকৃত অধ্যক্ষের পুনঃবহালের অভিযোগ
মাহমুদুল হাসান রতন (ময়মনসিংহ) ও জুলফিকার আলী শাহীন, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার পূর্বধলা রাবেয়া আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে কলেজে অবৈধভাবে পুনঃবহালের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, আতিকুর রহমান র্দীঘদিন যাবত কলেজে দায়িত্ব পালন কালে কলেজ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ আত্মসাধ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালসহ তার নামীয় সিল তৈরি করে বিনা অনুমতিতে ব্যবহার, ভূয়া ভাউচারে টাকা আত্মসাধ করার অভিযোগে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় এবং নেত্রকোণা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আব্দুল বাতেনকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিচালনা কমিটি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় অন্য কলেজে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ২০১৫ সনের ০২ নভেম্বর পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন আতিকুর রহমান। এবং তা ১৪ নভেম্বর পরিচালনা কমিটি জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন আকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। সাময়িক বহিস্কার ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরেও তিনি আবার স্ব-পদে পুন: দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান কলেজের একাধিক সূত্র।
কলেজের শিক্ষকদের দাবী তিনি একই সনের ১৫ ডিসেম্বর হতে অবৈধভাবে জোর পূর্বক আবার কলেজে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে মো. আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো কথা না বলে বিষয়টি এরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে পরিচালনা কমিটির সভাপতি তরুন কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০১৫ সনের ১৪ নভেম্বর পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে আমরা রেজুলেশন করে পুনঃবহাল করেছি। বহিস্কারকৃত অধ্যক্ষকে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন নিয়ম পালন না করে পুনঃরায় যোগদানের অনুমতি প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে বলেন বাকিটা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। সম্পাদনা : জাহিদ হাসান