কলিট তালুকদার,পাবনা: বিকাল গড়াতেই কনকনে শীত, সঙ্গে রাতভর হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় পাবনায় বোরো বীজতলার চারা শুকিয়ে লালচেরং ও পচন রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের আশঙ্কা তাপমাত্র আবারও কমলে বাড়তে পারে ক্ষতির পরিমাণ। তারা জানান, সারারাত কুয়াশার পড়ে সকালে রোদ উঠলেই দেখা যাচ্ছে ধান গাছের চারাগুলি লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছেন, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা এবং পরিমাণমত সার ও পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, পাবনা জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ৩ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৫৮ হাজার ১৫৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হবে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় প্রচন্ড ঠান্ডা ও রাতে ঘন কুয়াশায় পাবনার এসব জমিতে বোরো ধানের বীজতলার সবুজ আভা উধাও হয়ে লালচে রং হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ জমির চারাগাছ শুকিয়ে পচেও যাচ্ছে। নিস্তেজ চারাগাছ জমিতে বাঁচবে কিনা সন্দেহ রয়েছে চাষিদের। ঠান্ডার মাত্রা আরও বাড়লে বীজতলায় ধানচারা মরে যাওয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।
পাবনার নাগদহ গ্রামের কৃষক আরব আলী বলেন, শীত ও কুয়াশায় ধানের বীজতলা পচে যাচ্ছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান