পরাগ মাঝি: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাজাকস্তানে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী শান্তি আলোচনা। রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ওই শান্তি আলোচনার জন্য সোমবার কাজাকস্তানের রাজধানীতে সমবেত হয়েছেন সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধী পক্ষরা। বিদ্রোহী সূত্রে বলা হয়, প্রতিনিধিরা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে কথা বলছেন, তারা সরাসরি আলোচনা করছেন না।
রাজধানীর রিজোস হোটেলে শান্তি আলোচনার শুভ সূচনা করেন কাজাকস্তানের প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারভায়েব। আলোচনাকারীদের মধ্যে বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জইশ আল-ইসলামের নেতা মোহাম্মেদ আলাউশ। ইসলামপন্থ’ী এবং সালাফির সংমিশ্রণে গঠিত এই দলের মূল আস্তানা সিরিয়ার দামেস্কে। সরকারি মুখপাত্র হিসেবে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাশার জাফারি। শান্তি আলোচনাটি কাভার করার জন্য সারা বিশ্বের প্রায় ৩০০ জন সাংবাদিকও রয়েছেন রিজোস হোটেলে। আমেরিকা থেকে কোনো প্রতিনিধি না পাঠালেও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কাজাকস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত স্তাফান দ্য মিসতুরা।
অনুমান করা হচ্ছে, আস্তানায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে, ডিসেম্বর মাসে, রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দেশব্যাপী যে অস্ত্রবিরতি হয় তা আরও জোরদার করার উপর মনোযোগ দেওয়া হবে। ওই অস্ত্রবিরতি মোটামুটি বলবৎ রয়েছে এবং শান্তি আলোচনায় ইসলামিক স্টেটের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। মঙ্গলবারের মধ্যেই শান্তি আলোচনায় ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাজাকস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিবদমান পক্ষগুলো গোলাগুলি বিনিময় করে এবং একে অপরকে দোষারোপ করে। এর আগের শান্তি আলোচনাগুলো যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত গত বছরের আলোচনায় সেগুলো ২০১১ সালের মার্চ মাসে যে সংঘাত শুরু হয় তা অবসানের লক্ষ্যে খুব কম অগ্রগতি সাধন করেছে। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ নিহত এবং এক কোটি ১০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি থেকে বিচ্যুত হয়েছে। আরটি, ভয়েজ অব আমেরিকা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম