ঝাল্লিকাট্টু : পুলিশকে তুলোধনা কমল হাসানের
ডেস্ক রিপোর্ট : বিধানসভায় বিল পাস হয়েছে। তাসত্ত্বেও ঝাল্লিকাট্টু নিয়ে অশান্তি চলছেই। সোমবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিও সামনে আসে। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার বদলে, বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। তারপর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আজকাল
ঝাল্লিকাট্টু নিয়ে শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন কমল হাসান এবং অরবিন্দ স্বামীর মতো অভিনেতারা। বিক্ষোভে বহির্শত্রুর হাত রয়েছে বলে প্রশাসন দাবি করলে সাধারণ মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলি দেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ফের সাধারণ মানুষের সমর্থনে নেমে এসেছেন সকলে। মঙ্গলবার সকালে চেন্নাইয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পুলিশকে কড়া ভাষায় তুলোধুনা করেছেন কমল হাসান। বলেছেন, ‘ভিডিওগুলি দেখার পর কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। নিরাপত্তার দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তারাই এমন কা- ঘটিয়েছেন! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বদলে, বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছেন! এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। পুলিশ না হয়ে বাইরের কেউ এমন করলে তবু মেনে নেওয়া যেত। আশাকরি মানুষের প্রশ্নের উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হবে তারা।’ ঝাল্লিকাট্টু চালু রাখার দাবিতে গত সাতদিন ধরে বিক্ষোভ উত্তাল তামিলনাড়ু। সোমবার সকালে মারিনা সমুদ্র সৈকতে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয় সেখানকার ছাত্ররা। তাতে প্রায় ১৫,০০০ মানুষ যোগ দেন। মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে চললেও, আচমকাই আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। প্রায় ৫০টি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। আগুন ধরানো হয় অটোতেও। বাধ্য হয়ে দুপুর ৩টা নাগাদ মিছিল থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় পড়ুয়ারা। পুলিশের যুক্তি ছিল, সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতির জন্য বিক্ষোভকারীদের হঠানো হচ্ছিল। তবে তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও সামনে আসে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদ চলাকালীন রাস্তার ধারে অটোতে আগুন জ্বলছে। আর আগুন নেভানোর চেষ্টা করার বদলে, তাতে পেট্রল ঢালছে পুলিশই। পুলিশের তরফে ভিডিওর সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে বিশিষ্ট মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ