২০১৯-এ আসছেন নতুন প্রতিপক্ষ! সামলাতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি?
ডেস্ক রিপোর্ট : বেশ কয়েকমাস ধরেই প্রকাশ্যে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। শারীরিক কারণেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন সোনিয়া। জল্পনাটা তাই চলছিলই। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার পরে এবারে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে কংগ্রেসে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালে রায়বরেলিতে সোনিয়া গান্ধীর বদলে নির্বাচনে লড়তে পারেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেক্ষেত্রে রাহুলের পরিবর্তে প্রিয়াঙ্কায় হয়ে উঠতে পারেন নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিপক্ষ। এবেলা
সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন রফা নিয়ে প্রিয়াঙ্কাই যে বরফ গলিয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে কংগ্রেস। এতদিন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর রাজনৈতিক কাজকর্ম বা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দেয়নি কংগ্রেস। এবারে বরং উল্টোটাই হয়েছে। দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা এবং সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ নিজে টুইট করে উত্তরপ্রদেশে জোট নিয়ে প্রিয়াঙ্কার ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন। রাহুলের উল্লেখ সেখানে নেই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দিদি প্রিয়াঙ্কাকে রাহুলই নাকি অনুরোধ করেছিলেন জোটের জট সামলানোর জন্য।
প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে কংগ্রেসের এই অবস্থান বদলের পরেই সোনিয়া তনয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা আরও গতি পেয়েছে। এতদিন রাহুলের আমেথি এবং সোনিয়ার রায়বরেলিতে ভাই এবং মায়ের রাজনৈতিক প্রচারেই শুধু দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, রায়বরেলিতে প্রিয়াঙ্কা পরিচিত মুখ। তার উপরে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে এই আসনটি সমার্থক। ফলে ২০১৯ সালে নির্বাচনি লড়াইতে প্রিয়ঙ্কার অভিষেকের আদর্শ জায়গা হতে পারে রায়বরেলি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সমাজবাদী পার্টির ঘরোয়া কোন্দল বিজেপি-কে অক্সিজেন জোগালেও কংগ্রেসের সঙ্গে অখিলেশ জোট বাধার পরে বিজেপি-র উত্তরপ্রদেশ জয়ের স্বপ্ন সফল হওয়া বেশ কঠিন। নরেন্দ্র মোদির দলকে জোরালো এই ধাক্কা দিয়ে শুরুটা ভালই করেছেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৪-তে রাহুলকে মোদির সামনে দাঁড় করিয়ে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি কংগ্রেস। বিহার ছাড়া কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও তেমন সাফল্য আসেনি। এখন জল্পনা প্রিয়াঙ্কাকেই প্রধান অস্ত্র করেই ২০১৯-এ মোদিকে আরও বড় ধাক্কা দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কংগ্রেস নেতারা। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে বড়সড় রদবদলের কথা ঘোষণা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, দলের মধ্যে সোনিয়ার ছেড়ে দেওয়া অনেক সাংগঠনিক দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তার উপরে রাহুলের নির্ভরতাও অনেকটাই বেড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের এখনও দু’বছর বাকি। ফলে পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশে পরে রাহুলের হাতে সভাপতির দায়িত্ব এলে এবং প্রিয়ঙ্কা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব নিলে, দু’জনেই নতুনভাবে দলকে সাজিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাবেন।
নির্বাচনী অভিষেকের আগে সংগঠনের রাশও নিজের হাতে অনেকটাই নিয়ে নিতে পারবেন প্রিয়ঙ্কা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ