স্পোর্টস ডেস্ক : করবেন না কেনো। তিনি যে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী! খেলোয়াড় বাছাই থেকে শুরু করে একাদশ নির্বাচন হয় নাকি তার ইশারায়। তিনি যা বলেন বাস্তবে আবার সেটাই ফলে। তাহলে নির্বাচক কমিটি ও অধিনায়ক কি নিষ্ক্রিয়?
চ-িকা হাতুরুসিংহের কথা যদি শেষ কথা হয়, তাহলে নির্বাচক প্যানেলের আদৌ দরকার আছে। তিনি দলের কোচ, মানলাম। কিন্তু এর মানে এই না, সবার ঊর্ধ্বে থাকবে তার মতামত। দলের ভালো-মন্দ তার চেয়ে দেশের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে, এটা ভুললেও চলবে না। তাছাড়া কি দেখে তিনি একজন ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে টানেন। একজন খেলোয়াড়কে নেটে দেখে কতটুকুই চেনা যায়। বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং জাতীয় লিগ, এসব টুর্নামেন্টের কোনোটাই তিনি দেখেন না।
অথচ এভাবে সরাসরি না দেখে নেটে পরখ করে হুট-হাট খেলোয়াড়দের ডেকে নেন জাতীয় দলে। আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো পারফর্ম করছেন, তাদের নাম-গন্ধ শুনলে তাঁর সুর পাল্টে যায়। হাঁটেন উল্টোরথে।
যেকোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আগে হাতুরু দিব্যি হাওয়া খেয়ে বেড়ান। ছুটি কাটাতে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁর ছুটিরও শেষ নেই। রেকর্ড ছুটি ভোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বেতন-ভাতা তো আকাশছোঁয়া। যে বেতন আগে কোনো কোচকে দেয়া হয়নি।
তবে এতটুকু সমালোচনা বাদ দিলে, হাতুরুসিংহকে বেশ সফল বলা যায়। ম্যাচ নিয়ে তার পরিকল্পনা ঈর্ষণীয়। এইখানটায় তাকে শতভাগ মার্ক দিতেই হবে। বিশেষ করে টেস্টে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের উন্নতির পেছনের কারিগর তিনি। আরেকটা জায়গায় হাতুরুকে বেষ্ট বলা যায়। তার ম্যাচ রিডিং দুর্দান্ত। আর কঠোর শৃঙ্খলা, ছাত্রদের সঙ্গে ভীষণ বন্ধুত্বপূর্ণ এই তিন দিক থেকে অবশ্যই হাতুরুসিংহেকে এগিয়ে রাখা যেতে পারে। সূত্র, ঢাকাটাইমস