চীন সাগর নিয়ে চীন -যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য চরমে
ইমরুল শাহেদ: দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত আন্তর্জাতিক জলসীমার দখল নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করতে যাচ্ছ্।ে চীন সাগরের এ বিষয়টি নিয়ে চীনকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনও তাদের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তবে দুই দেশের অবস্থান এখনও প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। এই পরিস্থিতি বিরাজ করলে যে কোনো সময় এ অঞ্চলে যুদ্ধও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে চীনা গণমাধ্যমের আভাস থেকে বুঝা যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন সোমবার অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার দখল নিতে চীনকে কিছুতেই দিবে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সন স্পাইসার এক নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমরা সেখানে আমাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবই।’ তিনি বলেন, ‘এখানে প্রশ্ন আসতে পারে চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমায় পড়েছে কিনা এবং সেগুলো চীনের অংশও নয়। তাহলে সেখানে আমাদের ভূমিকা হবে, যাতে কোনো দেশ আন্তর্জাতিক সম্পদ নিজের দখলে নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’
স্পাইসার নিউজ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মনোনয়ন পাওয়া রেক্স টিলারসনের দক্ষিণ চীন নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। টিলারসন বলেছেন, বিতর্কিত চীন সাগরের দ্বীপে চীন যে দখলদারিত্ব চালাচ্ছে তা কিছুত্ইে চালাতে দেওয়া হবে না।
পক্ষান্তরে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই প্রেক্ষিতে চীনও সাবধান করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। চীন বলেছে, এই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘কথা ও কাজে’ সতর্কতা দেখাতে হবে। বেইজিংয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনায়িং বলেন, ওয়াশিংটনকে সতর্ক আচরণ করতে হবে যাতে শান্তির পথে কোনো বাধা না আসে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
টিলারসন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় যেসব স্থান চীনের নয় তারা কেবল সেসব স্থানেরই নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন।’ চীনের গণমাধ্যম এই বলে সতর্ক করেছে যে, চীনের স্বার্থে যদি কেউ বাধার সৃষ্টি করে তাহলে এই অঞ্চলে বড় ধরনের যুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, গার্ডিয়ান। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম