ভাইয়ের সঙ্গে সাভার স্মৃতিসৌধে খাদিজা
মাসুদ আলম: সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির কোপে আহত হয়ে সাভার সিআরপিতে চিকিৎসাধীন খাদিজা বেগম নার্গিস ধীরেধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সোমবার বড় ভাই শারনান হক শাহিনের সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে গিয়েছেন খাদিজা। হাসপাতালে খাদিজার পাশে থাকছেন মা-বাবা। নৃশংসতার সেই স্মৃতি মনে পড়লে বিমর্ষ হয়ে পড়েন খাদিজা। এখনো সেই স্মৃতি তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেজন্য মা-বাবা তাকে বিভিন্ন গল্প শোনান। মানসিকভাবে দৃঢ রাখতে বোনকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে যান শাহীন। বেড়ানের কিছু ছবি রাতে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন শাহীন।
শাহিন বলেন, সোমবার বিকালে আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলাম। আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় ভোগেন খাদিজা। আমরা পরিবারের সদস্যরা তাকে সময় দিয়ে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করি। মন খারাপ হলে মাঝে মধ্যে সাভার সিআরপির আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাতে নিয়ে যেতাম। কাল ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলাম। খাদিজা এখন অনেকটা সুস্থ। তবে বাম হাতে ব্যথা আছে। নিয়মিত থেরাপি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট আদালতে খাদিজা হাজির হতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শাহিন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের শিক্ষার্থী শাহীন। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে খাদিজাকে।
শাহীন ওই পোস্টে লেখেন, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফিরে যেতে লড়াই করছে। খাদিজার আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারা নিয়ে শঙ্কায় থাকা, ‘নরপিশাচ বদরুলের উপর্যুপরি চাপাতির কোপে আহত খাদিজা আল্লাহর অশেষ কৃপায় কোটি মানুষের দোয়ায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলেও তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেক লড়াই করতে হচ্ছে। আদৌ সে আগের মত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে কি না তা এখনও বলা যাচ্ছে না।’ উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজে ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়ে বের হলে ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন খাদিজা বেগম নার্গিস। গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার মাথা ও হাতে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হলে গত ২৮ নভেম্বর থেকে সাভারের সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন