ইমরুল শাহেদ: কাজাকস্তানের রাজধানী আস্তানায় সিরিয়া নিয়ে শান্তি আলোচনার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। সিরিয়া সরকার ও বিরোধী পক্ষ দেশটিতে চলমান বিরোধের উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আলোচনার দ্বিতীয় রাউন্ডে জঙ্গিদের পরিবর্তে বিরোধী রাজনীতিবিদরা অংশগ্রহণ করবেন। ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক এই আলোচনার আয়োজন করেছে। এই তিনটি দেশ আলোচনায় মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে। তবে আলোচনায় সিরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধিও উপস্থিত রয়েছেন।
ইতোমধ্যে তুরস্কের আনাদুলু বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ায় কেউ যুদ্ধবিরতি লংঘন করছে কিনা তা পাহারা দেওয়ার জন্য তেহরান, মস্কো ও আঙ্কারা একটা কৌশল অবলম্বন করেছে। তবে এ ব্যাপারে ইরান বা রাশিয়ার কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানায়নি। আলোচনা শেষে যে বিবৃতি তৈরি হবে তাতে এই ইস্যুটিও স্থান পাবে।
জাতিসংঘের দূত স্টাফান ডি মিস্তুরা মঙ্গলবার বলেছেন, আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ঐকমত্যের খুব কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত ঘোষণা থেকে আমরা খুব একটা দূরে নই। আলোচনা হচ্ছে অপুঙ্খানুপুংখ কাগজ কলমটা বড় বিষয় নয়। এটা শত্রুতা বিনাশের আলোচনা। এর উপর নির্ভর করছে সিরিয়ার অস্তিত্ব।’ কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, আলোচনায় দু’পক্ষের মধ্যে এখনও অনেক দূরত্ব রয়ে গেছে।
বিরোধী পক্ষের সিনিয়র আলোচক ওসামা আবু জাঈদ বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা যদি এই আলোচনার সাফল্য পেতে চান তাহলে তাদেরকে আরও অনেক গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে হবে। যেসব স্থানে ্এখনও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেসব স্থানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু আমরা অপেক্ষমান আছি বিবৃতির চাইতেও বেশিকিছু প্রাপ্তির জন্য।’
একটি বিরোধী সূত্র জানিয়েছে, তারা তুরস্ক প্রতিনিধির সঙ্গে একটি খসড়া প্রস্তুত নিয়ে আলোচনা করছেন। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তারাও খসড়া নিয়েই আলোচনা করছে। সূত্র : প্রেস টিভি