ট্রাম্প দখলে হিন্দু, মুসলিম ও শিখ দালালরা
কামরুল আহসান: ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন ভারতীয় বংশেদ্ভূত আমেরিকার প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহলাভ কুমার। বিশাল অংকের সেই অনুদানও ছিল অনেকের দৃষ্টিতে খুবই স্বল্প। কিন্তু, এখন ভারতীয় ব্যবসায়িদের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক করে দিতে শাহলাভ কুমারই একমাত্র মাধ্যম।
নেতৃত্ব স্থানীয় ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি শাহলাভ কুমার সম্পর্কে মন্তব্য করেছে যে, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক করার এখন প্রধানতম মাধ্যম তিনিই’। আরেকটি শীর্ষ স্থানীয় প্রবাসী ওয়েবসাইট বলেছে যে, আমেরিকার বাজারে তাকে ভারত-আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রধানতম ব্যক্তি মনে করা হয়। তাদের বলা হয় ব্রোকার। যার খাঁটি বাংলা অনুবাদ দালাল।
নতুন অর্জিত নতুন এই পদবি নিয়ে শাহলাভ কুমারের কোনো স্লাঘা নেই। বরং তিনি উচ্ছ্বসিত। বিবিসিকে তিনি বললেন, ‘আমি অবশ্যই ভারত-আমেরিকার ব্যবসায়িদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি শীঘ্রই ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের দলের লোকজনের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করছি’।
আমরিকা প্রবাসী বেশির ভাগ ভারতীয় অবশ্য ঐতিহ্যগতভাবেই ডেমোক্রেট দলকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু, শাহলাভ জানিয়েছেন, তিনি এবং তার বন্ধুরা এবার ট্রাম্পের পক্ষেই কাজ করেছেন এবং ফ্লোরিডায় ভারতীয় হিন্দুদের ট্রাম্পকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন। তাদের যুক্তি ছিল, ট্রাম্প সন্ত্রাস দমনে কাজ করবেন এবং ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দূরত্ব ঘুঁচিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। ট্রাম্পের মুসলমান-বিরোধিতাও অনেক হিন্দুকে তার প্রতি সমর্থন জানাতে সাহায্য করেছে। হিন্দুদের হয়ে যখন ট্রাম্পের পেছনে একজন দৌড়াচ্ছেন তখন মুসলমানদের কী অবস্থা? কুমারই একমাত্র ব্যক্তি নন যিনি ট্রাম্পে বিজয়ে এখন লাফাচ্ছেন। মুসলমান-বিরোধিতা সত্ত্বেও ট্রাম্পের পেছনে ছুটছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকা প্রবাসী সাজিদ তারার এবং শিখ জাতির আমেরিকা প্রবাসী জেসি সিং।
তারাও নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তারাও এখন স্বদেশের ব্যবসায়িদের সঙ্গে ট্রাম্পের দলের লোকজনদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। ট্রাম্প দখলে এখন খোদ আমেরিকাতেই হিন্দু মুসলমান ও শিখদের মধ্যে লড়াই চলছে। আর এর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন এই তিনজন বিরাট ব্যবসায়ী। বিবিসি, সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ