খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
মামুন খান: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ এবং সরকারের উন্নয়নের নামে লুটপাট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানা পুলিশকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এদেশের জনগণ যুদ্ধে নেমে ছিল।
অভিযোগে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, ধর্মলঘুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। যেমন পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেফতার করে গুম করছে ও হত্যা করছে।
খালেদা জিয়ার বক্তব্য ২ জানুয়ারি বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বাদী অভিযোগ করেন , আসামির বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে দেশের মধ্যে সাধারণ জনগণ ও যুব সমাজের মাঝে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে তার বক্তব্য অলিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহবান করা হয়েছিল। কিন্তু এ আসামি ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন বাদী।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তার অভিযোগের তথ্য প্রমাণসহ আদালতে হাজির করার নির্দেশ অথবা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী। মামলায় ৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক