নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সহযোগিতা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেজ। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘ সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে গত বুধবার (নিউইয়র্ক সময়) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সাথে তার প্রথম আলোচনা সভায় মহাসচিব জাতীয় আয়ের ০.১৫ – ০.২০শতাংশ বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এলডিসি গ্রুপের সাথে জাতিসংঘ মহাসচিবের এটাই প্রথম সভা। এ সভা পরিচালনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং এলডিসি’র গ্লোবাল কো-অর্ডিনেশন ব্যুরোর চেয়ারপারসন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
নিউইয়র্ক থেকে এনা জানায়, বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমর্থনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান। পর্যায়ক্রমে এলডিসি ক্যাটাগরী থেকে পরবর্তী ধাপে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উত্তরণকে জাতিসংঘের সাফল্যের তালিকায় একটি উজ্জ্বল সংযোজন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে সময়-নির্দিষ্ট ও দেশভিত্তিক সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। একই সাথে এলডিসি ক্যাটাগরী উত্তীর্ণ দেশগুলোকেও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে যাতে তারা আবার আগের অবস্থায় ফিরে না আসে। স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, অগ্রগতি এবং ২০৩০ এজেন্ডার সফল বাস্তবায়নের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এই উত্তরণ অপরিহার্য।
জাতিসংঘে নিযুক্ত এলডিসি’র অন্যান্য স্থায়ী প্রতিনিধিগণ তাদের বক্তব্যে স্ব-স্ব দেশ যে সকল বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন। তারা এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানান। সভায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের প্রতিনিধিগণ নবপ্রতিষ্ঠিত টেকনোলজি ব্যাংকে অর্থায়নের জন্য এবং এলডিসি’র দেশগুলোকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের জন্য আরও নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের পূর্ণ সমর্থন দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পর্যায়ে উপনীত হওয়ায় এবং বেশকিছু দেশ অতি শিগগির এলডিসি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করায় জাতিসংঘ মহাসচিব সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য এবং ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ দেশগুলোকে তাদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য জাতিসংঘের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশের বিষয়টি শিগগিরই বাস্তবায়িত হওয়া দরকার। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম