শাহানুজ্জামান টিটু: সার্চ কমিটির বেশির ভাগ সদস্য সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত, সরকারের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত। এদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে এক দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সার্চ কমিটি করা হয়েছে এমন সব লোক দিয়ে যাদের পাওয়ার আছে কিংবা যারা অলরেডি পাওয়ার পেয়েছেন তাদেরকে দিয়ে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি, যিনি আগে রকিব কমিশনের মতো এমন একটা অযোগ্য, অপদার্থ, মেরুদ-হীন কমিশন নিয়োগের প্রস্তাব করেছিলেন। এই একই ব্যক্তিকেই আবার চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এমন এক ব্যক্তিকেও সদস্য করা হয়েছে যিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটা বিতর্কিত অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন এবং সেই সময়ের পুরস্কার হিসেবে পরবর্তীতে তাকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত এমন একাধিক লোকও এটার সদস্য হয়েছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, দেশনেত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটা ছিল এই যে, সার্চ কমিটি হবে পরিপূর্ণভাবে নিরপেক্ষ এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে এমন মানুষদের দ্বারা। যারা অবসরপ্রাপ্ত হবেন। সরকারের কোনো বিশেষ পদে অবসরগ্রহণের পরে কোনো লাভজনক পদে ছিলেন কিংবা আছেন এমন কেউ সার্চ কমিটির সদস্য হতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছি এমন মানুষকে সদস্য করা হোক, যাদের আর কিছু পাওয়ার নাই। কিন্তু আমরা দেখলাম সার্চ কমিটি করা হয়েছে এমন সব লোকদের দিয়ে যাদের পাওয়ার আছে কিংবা অলরেডি পেয়েছেন। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী