রাশিদ রিয়াজ: সিরিয়া ফেরত জিহাদীদের পায়ের গোড়ালিতে বৈদ্যুতিক কড়া (ইলেকট্রনিক ট্যাগ) লাগানোর চিন্তা করছে অস্ট্রিয়া। এতে খুব সহজেই তার গতিবিধি নজরদারি করতে পারবে পুলিশ। সন্ত্রাস বিরোধী উদ্যোগ হিসেবে এধরনের ট্যাগ লাগানোর সক্রিয় চিন্তা করছে দেশটি।
অস্ট্রিয়ার একটি রেডিওতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হ্যান্স পিটার ডোস্কোজিল বলেন, ট্যাগ ছাড়াও অন্যান্য বিকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি ও স্পষ্ট কিছু বিবেচনা করতে এধরনের ট্যাগ সাহায্য করবে। তারা কোথায় যাচ্ছেন, কোথায় সভা করছেন তা মনিটর করা সম্ভব হবে বলে পুরো নজরদারিতেই থাকবেন এবং এটা খুবই জরুরি। অস্ট্রিয়ার মধ্যপন্থী সরকার নিরাপত্তা জোরদার ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে কড়া প্রহরা ও ভিডিও নজরদারির ব্যবস্থা করছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলফগ্যাঙ্গ সোবোতকা সাংবাদিকদের বলেন, এধরনের ট্যাগ বসাতে আইনগত অনুমোদন প্রয়োজন। অন্তত ৩শ ব্যক্তি অস্ট্রিয়া ছেড়ে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায়। এদের মধ্যে ৪০ জন মারা গেছে, ৯০ জন ফিরে এসেছে। গত শুক্রবার ভিয়েনায় ১৭ বছরের এক যুবককে অস্ট্রিয়া পুলিশ জঙ্গি সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করে। ভিয়েনায় সে বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিল বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ ঘটনার সূত্র ধরে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চল শহর নেসাস থেকে ২১ বছরের আরেক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জার্মানিতে আটক ওই ব্যক্তির নাম লরেঞ্জ কে এবং সে অস্ট্রিয়ার ওই যুবকের সঙ্গে বোমা হামলার পরিকল্পনা করছিল। দুজনেই বেড়ে উঠেছে অস্ট্রিয়ায়।
তবে পুলিশ সন্দেহ করে একটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কোনো বোমা বা তা তৈরির উপকরণ পায়নি। অস্ট্রিয়ার জননিরাপত্তা প্রধান কোনার্ড কোগলার বলেন, ১২ বছরের একটি বালককে আটক করে এধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রিয়ায় গত কয়েক বছরে জঙ্গি তৎপরতা হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। দি লোকাল