নাফরুল হাসান : ভুলে ভরা পাঠ্য বই পরিবর্তনের উদ্যোগ আগামী ৩ দিনের মধ্যে দেখতে চান দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। একই সাথে এমন ঘটনার পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি তাদের।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত সম্মলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক গোল টেবিলে এমন দাবি তোলেন তারা।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর শিক্ষা ব্যবস্থার সাম্প্রদায়ীক মনভাবের এমন পরিস্থিতি গ্রহনযোগ্য নয় বলে জানান অনুষ্ঠানের বক্তারা। নতুন পাঠ্য পুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি বিষয়বস্তু পরিবর্তন ও ভবিষৎতে এমন কর্মকান্ডের প্রতিরোধের দাবি জানান সম্মলিত সাংস্কৃতিক জোটের বক্তারা। পাঠপুস্তকের ভুলের কঠোর সমালোচনাও করেছেন তারা। বক্তারা বলেন এমন ভুলের পিছনে রয়েছে অদক্ষতা ও সাম্প্রদায়ীক মনোভাব।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি, মফিদুল হক বলেন, পাঠ্যপুস্তকের এসব নেতিবাচক পরিবর্তনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাই।
বিষয়টিকে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতিকরণ কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় এবং ভুলের কারণ জনসম্মুখে তুলে ধরতে শিক্ষা মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
মানুষ মাত্রই ভুল করে শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্যে এক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন মানুষ মাত্রই ভুল বইতে করে না। তাহলে সংকলক কেন আছে, সম্পাদক কেন, নীতিনির্ধারক ও বড় বড় শিক্ষাবিদ তারা কেনই বা পয়সা নিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করছে। লজ্জা পাওয়া উচিৎ তাদের যারা নাম ব্যবহার করছে।
সাংস্কিৃতিক ব্যাক্তিত্বরা মনে করে এবারের পাঠ্যবইয়ের এমন পরিবর্তন জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে পাঠ্য বই পরির্বতনে সরকারের প্রতি আহ্বান করেন তারা।
লেখক আবুল মকসুদ বলেন, তাদের দাবির সম্পর্কে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বক্তব্য থাকা দরকার বলেও মনে করেন। সূত্র: দেশ টিভি