কেড়ে নেওয়া হলো উসাইন বোল্টের স্বর্ণ পদক
জাহিদ আল রাফি: তিনবার স্বর্ণ বিজয়ী জামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টকে তার ২০০৮ সালে জয়লাভ করা স্বর্ণ ফেরত দিতে হয়েছে। পরপর তিন গেইমে নয়বার স্বর্ণ জয়লাভ করেছেন তিনি। এখন ‘ত্রিপল ত্রিপল’ নাম থেকে বঞ্চিত বোল্ট।
তার সতীর্থনেস্টা চার্টার ধুপ টেস্টে ড্রাগ এ্যাডিক্টেড বলে প্রমাণ হওয়ায় তাকে পুরস্কার ফেরত দিতে হয়েছে।
রিও অলিম্পিক উসেইন বোল্টকে অমর করে দিয়েছিল। রিও অলিম্পিক শেষে বোল্টের সোনা জয়ের সংখ্যা ছিল ৯টি। তিনটি অলিম্পিকের আসর থেকে নয়টি সোনা জিতে নেন বোল্ট। বুধবার সবার মন ভেঙে দিয়ে তার কাছ থেকে স্বর্ণ কেড়ে নেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়ে দিল, বেইজিংয়ে বোল্টের টিমমেট নেস্টা কার্টার মাদকাসক্ত ছিলেন। তাই তার জয় করা সোনা কেড়ে নেওয়া হল বোল্টের কাছ থেকে। ২০০৮ এর বেইজিং অলিম্পিকের রিলে দলে ছিলেন নেস্টা কার্টার। ওই বছর রিলেতে সোনা জিতেছিল জামাইকান দৌড়বিদ বোল্ড।
শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি জানিয়ে দেয়, কার্টারের নমুনা পজিটিভ হওয়ায় জামাইকার সোনা কেড়ে নেওয়া হল। বোল্টের জেতা সোনার সংখ্যাও কমে গেল। তিনি এখন আর নয়টি সোনার পদকের মালিক নন। পদকের সংখ্যা এখন আটটি।
রিও অলিম্পিকে তিনটি সোনা জেতার পরেই বোল্টের সোনা কেড়ে নেওয়া হতে পারে গুজব উঠেছিল। সেই গুজবই সত্যি হল নতুন বছরের ২৫ জানুযারি। বেইজিং, লন্ডন ও রিওতে একশ, দুশ ও চারশ মিটার রিলে দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন বোল্ট।
বেজিংয়ে সোনাজয়ী জামাইকান দলে বোল্টের সঙ্গে ছিলেন নেস্টা কার্টার। আর এই স্প্রিন্টারের বিরুদ্ধেই ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। কার্টারের নমুনায় নিষিদ্ধ ওযুধ পাওয়া গিয়েছে। তার জন্যই রিলেতে সোনা কেড়ে নেওয়া হল জামাইকারও।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো বিশ্ব শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে। নেস্টা জানান, তিনি তার কোচের নির্দেশনা অনুযায়ীই গেইমের আগে সাপ্লিমেন্ট নেন যা অনেকটা এ্যানার্জি ড্রিংসের মতো। তবে তাতে কিভাবে ড্রাগ মিলিত ছিল তা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না বলে গণমাধ্যমকে জানান নেস্টা। স্কাই নিউজ, সম্পাদনায়: এম রবিউল্লাহ