তরিকুল ইসলাম সুমন: বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা যিনি তথ্য সরবরাহ করবেন (তথ্য কর্মকর্তা) এবং আপীল কর্তৃপক্ষ (যে কর্মকর্তার নিকট তথ্য দাবি করবেন) নিয়োগ না দেয়ায় এক হাজার ৭শ ২৮টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। যা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রাধীন একটি সংস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, এনজিও ব্যুরো ও তথ্য কমিশনের নির্দেশনা না মেনে বছরের বছর তাদের এসব প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনজিওদের কার্মকা-ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জঙ্গি অর্থায়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের এনজিও ব্যুরোকে তিন বছর ধরে তাগিদ দিচ্ছে তথ্য কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন বছরে দুই হাজার ৫৩৩টি এনজিওর মধ্যে মাত্র ৮শ ৫টি এনজিও তথ্য কর্মকর্তা ও আপীল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিয়েছে। এখনো বাকি রয়েছে এক হাজার ৭শ ২৮টি এনজিও।
এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, তথ্য কমিশন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখ থেকে এনজিও ব্যুরোকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়। এ চিঠির প্রেক্ষিতেই গত ২ অক্টোবর ২০১৩ এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধিত সকল এনজিওকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এর পরেও একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে এসব এনজিওকে। কিন্তু নিবন্ধত সকল এনজিও এখনো তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়নি।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর উপপরিচালক (উপ-সচিব) মো. শাহ আলম আমাদের অর্থনীতিকে জানান, তাদের কাছে নিবন্ধিত এখন পর্যন্ত ৮শ ৫টি এনজিওকে তথ্য কর্মকর্তা বা দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আপীল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিয়ে তাদের অবহিত করেছে। এখনো যারা বাকি রয়েছে তাদের বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে তথ্য বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে ব্যুরোকে অবহিত করার জন্য। এর পরেও যদি তারা তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ না দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরওবলেন, তথ্য কমিশনের ন্যায় এনজিও ব্যুরোও চায় প্রতিটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা তাদের প্রতিষ্ঠানে তথ্য কর্মকর্তা ও আপীল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করুক। এনজিওদের এ বিষয়ে সচেতন করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এবিষয়ে এনজিওদের বিরুদ্ধে নিবন্ধন ও তথ্য অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী