নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: ডেড লাইন ৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই গঠন করা হতে পারে নির্বাচন কমিশন। কারণ ওইদিনই শেষ দিন সার্চ কমিটির কাজের জন্য বেঁধে দেওয়া সময়ের। রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটিকে তাদের কাজ শেষ করে দশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেই হিসাবে তারা দশ দিন পাবেন। তবে চাইলে ও কাজ শেষ করতে পারলে তারা আগেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেন। ২৫ জানুয়ারি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। মাঝখানে শুক্র ও শনিবার রয়েছে ২৭, ২৮ জানুয়ারি ও ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। এই চারদিন বাদ দিলে সার্চ কমিটির দশ কার্যদিবস ৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ হবে। আর ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ। সেই হিসাবে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই গঠন করতে হবে নির্বাচন কমিশন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, দশদিনের মধ্যে কমিটি তাদের কাজ শেষ করে কাদেরকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা যেতে পারে তাদের নাম প্রস্তাব করবেন। তাদের প্রস্তাবিত নাম থেকে রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন। এরমধ্যে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন। তারা পাঁচ বছরের জন্য নিযুক্ত হবেন। তিনি বলেন, এখন সার্চ কমিটি তাদের কাজ যথাসময়ে শেষ করে নাম দিলে এই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ দেওয়া হবে। তিনি এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবেন।
তিনি বলেন, যাদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি আশাবাদী যে তারা নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসাবে কারা নিযোগ পেতে পারেন এই রকম নাম খুঁজে পেতে বেশি সময় নিবেন না। তাছাড়া তারা যোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন বলেও আশাবাদী। রাষ্ট্রপতি এর আগে কমিটি নাম দিতে পারলে আগেও তিনি কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নিতে পারেন।
বুধবার সার্চ কমিটি গঠন করা হলেও এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি। কারণ একজন কমিশনার ঢাকায় এসে পৌঁছাননি। তিনি আসার পর বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করবেন। শিরীন আখতার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পর ছয়জন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে বসে তারা তাদের করণীয় ঠিক করবেন। এবং কাদেরকে কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করার সুপারিশ করবেন তা ঠিক করবেন। তারা একাদিক নাম বিবেচনা করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব আরও বলেন, ৭ তারিখে করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে নাম পেলে ওই দিন নতুন কমিশনাররা দায়িত্ব নিতে পারবেন। আর যদি কমিটির কাছ থেকে নাম পাওয়ার পর কিছুটা সময় লাগে সেটা নেওয়া হবে। তবে ৭ তারিখে নিয়োগ দিতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম