মাছুম বিল্লাহ: জলপরী বা মৎস কন্যা যেটাই বলি না কেন, কয়েক শত বছর ধরে কল্প কাহিনীর এই চরিত্র গুলি আমাদের বরাবরই রোমাঞ্চিত করে এসেছে। অনেক আগের থেকেই অনেক নাবিকেরা বলত যে তারা গভীর সমুদ্রে এমন কিছু দেখেছে যার অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক মাছ। কেউ এটাকে পাত্তা দেয় নাই, দেবার কথাও না, কেননা ততদিনে এই জলপরী জায়গা করে নিয়েছে আমাদের কল্পনার জগতের কোন এক কল্প চরিত্রে। কিন্তু আসলেই কি এই জলপরীদের অস্থিত্ব শুধু মাত্র আমাদের কল্পনায়? নাকি সত্যি সত্যি তাদের অস্তিত্ব রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে।
হ্যা, কেচ্ছা-কাহিনীর সেই জলপরীর সন্ধান মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে তারা আসল জলপরী নয়। মানুষরুপী জলপরী। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু মানুষ গোপনে জলপরী হতে চেষ্টা করছে এবং এ কাজে তারা অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। জলপরী হতে ইচ্ছুক মানুষরা তিন হাজার ৫০০ ডলার খরচ করে জলপরী হচ্ছে। নিজেদের শরীরে সিলিকনের লেজ ইমপ্লান্ট করে জলপরী হচ্ছে। তারা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে স্থায়ীভাবে সমুদ্রে জীবন-যাপনের জন্য মস্যকণ্যা হচ্ছে।
গত বছর সারা বিশ্বের প্রায় ১০০ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘মরমেনিয়া’ উৎসবে একত্রিত হয়েছিল। এরপর তারা হাতের পাখা এবং মৎস্যকন্যা সেজে অলিম্পিক পুলে সময় কাটান। এদের মধ্যে এক ক্যাটলিন নিলসন (৩২) নিজেকে অর্ধেক মাছ এবং অর্ধেক মানুষ বলে মনে করেন। ‘ডিজনী’ ছবি দেখার পর সে জলপরী হওয়ার চেষ্টা করে এবং দীর্ঘদিন পর সে সফল হয়। এদের মধ্যে এড ব্রাউন বলেন, যখন নিজের শরীরের সঙ্গে লেজ লাগিয়ে পানির গভীরে যাই, তখন সবকিছু ঐন্দ্রজালিক মনে হয়। সূত্র : হিন্দি দৈনিক জাগরণ