ক্রিকেটারদের নিয়ে লজ্জায় বোর্ড
অনির্বাণ বড়ুয়া: নারী ঘটিত বিষয়গুলো পুরুষ ক্রীড়া তারকাদের যেন নিত্যসঙ্গী। পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে এটি খুব বেশি দেখা যেত। বিগত কয়েক বছর ধরে এটি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট পরিম-লেও। কয়েকজন ক্রিকেটারের নারীদের সঙ্গে দরহম মহরমের কারণে বিষয়টি চায়ের কাপে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেছে। রেকর্ডে না বলতে চাইলেও অনেকেই বলছেন নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে গেলে আর দলে জায়গা হয় না ক্রিকেটারের। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বিষয়টিকে খেলার সঙ্গে জড়ানোর বিপক্ষে।
ইতিপূর্বে ইমরান খান, শহীদ আফ্রিদি, ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতের অনেক অভিনেত্রীকে জড়িয়ে অনেক মুখরোচক কাহিনী প্রচলিত আছে। ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে সুস্মিতা সেনের প্রেমের কাহিনী তো একের পর এক শিরোনাম হয়েছে। ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে বলিউড নায়িকা কিম শর্মা, প্রীতি জিনতার সম্পর্কের কথা অনেকেই শুনেছেন। বিয়ের আগে দীপিকার সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক ছিলো মহেন্দ্র সিং ধোনির। আর এখন বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার বিষয়টি তো একেবারেই মিডিয়ার হট নিউজ। তবে এসব ক্ষেত্রে তাদের ক্রিকেট বোর্ডকে কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। বিষয়টি ব্যক্তিগত বলে তারা ওই ক্রিকেটারের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন এসব।
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড যেন হাত ধুয়ে লেগেছে ক্রিকেটারদের চরিত্র ঠিক করার জন্য। ক্রিকেট সাংবাদিকদের মধ্যে অফ দ্য রেকর্ড আলোচনা শোনা যায় যে আল-আমিন ও রুবেলকে আগের মতো দলের সঙ্গে রাখা হয় না নারীগঠিত সমস্যার কারণে। তবে আগে চলুন দেখা যাক বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের নারী কেলেঙ্কারির চিত্র:
১. রুবেল-হ্যাপি: রুবেলের সঙ্গে চিত্রনায়িকা হ্যাপির প্রেম কাহিনী নিয়ে দেশিয় তো বটেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শিরোনাম হয়েছে অনেক। রুবেল নাকি হ্যাপিকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে ভোগ করেছে। রুবেলের বিরুদ্ধে মামলাও হয়, জেলও খাটতে হয় এই পেসারকে।
২. সানি ও কথিত স্ত্রী: স্পিনার আরাফার সানিকে জড়িয়েও মামলা হয়েছে। একটি মেয়ে দাবি করেছে সানি তাকে গোপনে বিয়ে করেছে। এসব ঘটনায় কথিত স্ত্রীর মামলায় এখন জেলে আছেন সানি।
৩. সাকিব ও মডেল মিথিলা: র্যাম্প মডেল মিথিলার সঙ্গে সাকিবের প্রেমকাহিনীও এক সময় বেশ আলোচনার বিষয় ছিলো। যদিও সাকিব এখন বিয়ে করে সুখে আছে। আর মিথিলাও ক্যারিয়ারে সফল।
৪. সাব্বিরের জরিমানা: মডেল নায়লা নাঈমের সঙ্গে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে বেশ তোপের মুখে পড়তে হয়েছে সাব্বিরকে। গুনতে হয়েছে জরিমানাও।
এছাড়া, কথিত আছে সৌম্য, আল-আমিন ও তাসকিনের জীবনেও নারীদের প্রভাব আছে বেশ।
এসব বিষয়ে সাধারণত: মিডিয়ার সামনে বোর্ড চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান। তবে ধারণা করা হয় এমন কোনো ঘটনার পর ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কয়েকবার ভাবেন নির্বাচক কমিটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, এসব ঘটনা ক্রিকেটকে লজ্জায় ফেলছে।
বিষয়টি টাকা-পয়সার গরমে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা ক্রিকেটাররা অনেকে অল্প বয়েসে খ্যাতি ও প্রচুর অর্থ পেয়ে যাচ্ছে। অনেকে এই সাফল্য ম্যানেজ করতে পারে না, নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
তবে তিনি বলেন ক্রিকেটারদের পেছনে মেয়েরা দৌড়াচ্ছে। তবে এই হাতছানির মধ্যে নিজেকে সামলে রাখতে হবে ক্রেকেটারকেই। সম্পাদনা: এনামুল হক